Brain Cancer: বর্তমানে বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির আগের থেকে অনেক বেশি উন্নত হয়েছে। বহু জিনিস খুব সহজেই মানুষের সামনে আসছে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রযুক্তির মাধ্যমে। ক্যান্সার হল এমন একটি মারণরোগ যা শরীরের ভেতরের অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে তিলে তিলে শেষ করে দেয়। ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ যদি আপনার শরীরে বাসা বাঁধে তাও আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন। একটি যন্ত্রের মাধ্যমে মাত্র এক ঘণ্টাতেই ধরা পড়বে ব্রেন ক্যান্সার।
সম্প্রতি নটরডেম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মিলে এমন একটি টেস্টিং ডিভাইস তৈরি করেছেন যাতে খুব সহজেই ব্রেন ক্যান্সার (Brain Cancer) ধরা পড়বে। এতে সাধারণ মানুষের অনেকটাই উপকার হবে। এই স্বয়ংক্রিয় ডিভাইসের মাধ্যমে গ্লিওব্লাস্টোমা, এক বিশেষ ধরনের মস্তিষ্কের ক্যানসার ধরা পড়বে মাত্র এক ঘণ্টাতে।
অন্যান্য ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি লাভ করা গেলেও এই রোগটির (Brain Cancer) এখনো কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বের হয়নি। তাই এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হলে প্রতিকার করা সম্ভব নয় অকালে মরতে হবে মানুষকে। সাধারণত গ্লিওব্লাস্টোমা রোগীরা রোগ নির্ণয়ের পরে মাত্র ১২ থেকে ১৮ মাস বেঁচে থাকে। এই টেস্টিং ডিভাইসটির মধ্যে রয়েছে বায়োচিপ যা বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট কিছু বায়োমার্কার, খুঁজে বার করতে সাহায্য করে। যেমন সক্রিয় এপিডার্মাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিসেপ্টর।
এই এপিডার্মাল গ্রোথ ফ্যাক্টর রিসেপ্টর কাদের শরীরে থাকে সেটা বের করার সহজ হবে এই ডিভাইসটির মাধ্যমে। সাধারণত গ্লিওব্লাস্টোমা মতো ক্যানসারে (Brain Cancer) কেউ আক্রান্ত হলে তাদের শরীরে এটি পাওয়া যায়। যাদের শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধে তাদের মধ্যে এটি ছোট ছোট কণার আকারে এক্সট্রা ভেসিলস জাতীয় কোষ থেকে নির্গত হয়।
আরো পড়ুন: চশমা পরার ঝঞ্ঝাট থেকে মিলবে চিরতরে মুক্তি, বাজারে এসে গেল এক নতুন প্রযুক্তির আই ড্রপ
এই ডিভাইসটির মোট তিনটি ভাগ রয়েছে। একটি হল অটোমেশন ইন্টারফেস, পোর্টেবেল প্রটোটাইপ মেশিন এবং বায়োচিপ। গবেষকরা এই বিষয়ে বলেছেন যে, এই পোর্টেবল মেশিনটির দ্বারা খুব কম খরচেই রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। এই যন্ত্রের দ্বারা টেস্ট করতে প্রয়োজন মাত্র ১০০ মাইক্রোলিটার রোগীর রক্ত। মাত্র দুই ডলার খরচা করলেই এই টেস্ট করা সম্ভব অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় যা দাঁড়ায় প্রায় ১৬৮ টাকা।
শুধুমাত্র ব্রেন ক্যান্সারের (Brain Cancer) ক্ষেত্রেই যে এই যন্ত্রটি কার্যকরী হবে তা নয়। এর দ্বারা ভবিষ্যতে চিকিৎসকেরা অন্ত্রের ক্যানসার, কার্ডিওভাসকুলার রোগ, ডিমনেশিয়া বা এপিলেপসি জাতীয় রোগের বায়োমার্কারকেও শনাক্ত করতে পারবে। চিকিৎসা পদ্ধতি আগে থেকে অনেক বেশি ভালো হবে। যন্ত্রটির আবিষ্কার চিকিৎসাশাস্ত্রে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে।