নিজস্ব প্রতিবেদন : চারদিকে এখন চলছে বিয়ের মরশুম। পৌষ মাস শুরু হওয়ার আগে রবিবার পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় এই বিয়ের মরশুম চলতে দেখা যায়। বিয়ের মরশুম চলাকালীন চারদিকে হইহুল্লোড়, আনন্দ, ভুরিভোজ কত কিছুর ছবি না সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে বিয়ের মরশুমের শেষ দিনে ঘটে গেল অন্য এক ঘটনা। যে ঘটনা হিন্দি সিনেমাকেও হার মানাবে। আসলে এক বরকে বিয়ে করতে এসে তার হবু বউকে না পেয়ে ছুটতে হলো থানায়।
বিয়ে করতে এসে মাথায় টোপর, গায়ে তসরের পাঞ্জাবি, ধুতি পরে এইভাবে কাউকে থানায় ছুটতে হবে তা সত্যিই নিরাশাজনক। তবে এমন ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ায়। বন্ধুদের নিয়ে বিয়ে করতে এসে হবু বউকে না পেয়ে থানায় গিয়ে ওই বর অভিযোগ জানান, কনেকে পাওয়া যাচ্ছে না আর তারপর তাকে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এমন ঘটনায় ওই যুবকের মান-সম্মান নিয়ে টানাটানি তো হয়েছেই, উপরন্তু বন্ধুদের কাছেও তিনি খেলো হয়ে পড়েছেন।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবকের নাম নয়ন ঘোষ। তিনি পেশায় একজন স্বর্ণ শিল্পী এবং নদীয়ার কালীগঞ্জের বাসিন্দা। নয়নের সঙ্গে যার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল অর্থাৎ কনের পূর্ব পরিচয় ছিল। জানা গিয়েছে, নয়নের এক বন্ধুর বিয়েতে ওই যুবতীর সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। এরপর তাদের মধ্যে অনলাইনে বন্ধুত্ব হয়। পরে অনলাইনে কথাবার্তা হতে শুরু করলে ধীরে ধীরে শুরু হয় প্রেম। এইভাবেই ছয় মাস চলে যায়।
আরও পড়ুন ? Married life Tips: বিয়ের পর কার কথা শুনবেন? বউ না মা! দুজনকেই মানিয়ে রাখতে মানুন এই উপায়
ছয় মাস কথাবার্তা এবং প্রেমের পর বর্ধমানের দত্তপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবতী বিউটি ভট্টাচার্যের সঙ্গে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন নয়ন। বিউটি জুরানপুর ডাক বিভাগে কর্মরত বলে জানিয়েছিলেন নয়নকে। তবে শুধু অনলাইনে অথবা ফোনে কথাবার্তা নয়, পাশাপাশি তাদের একাধিকবার দেখা হয়েছে বলেও দাবি করা হচ্ছে। নয়নের তরফ থেকে বিউটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পর পরিবারের কারো সাথে সরাসরি যোগাযোগ না হলেও ফোনে কথা হয়।
বিউটি নয়নের থেকে বিয়ের প্রস্তাব পেয়ে তার মাসির বাড়ির ঠিকানা দিয়েছিলেন। বিয়ের প্রস্তাবের পর দুই পরিবারের সরাসরি কথাবার্তা না হলেও ফোনে বিয়ের দিন ঠিক হয় এবং রবিবার বিয়ের কথা ছিল। কথামতো নয়ন বরের সাজে বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে কাটোয়ার ফেরিঘাটে এসে উপস্থিত হন। কিন্তু তারপর থেকেই আর বিউটির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে পারেননি নয়ন এমনটাই। দীর্ঘক্ষণ প্রচেষ্টার ফল বৃথা হলে শেষ পর্যন্ত নয়ন থানার দ্বারস্থ হন।