নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তিহারে থাকতেই তার ঘনিষ্ঠদের উপর বরাবর কোপ পড়ছে। অন্ততপক্ষে রাজনৈতিক মহলের মন্তব্য এমনটাই। এরই মধ্যে এবার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মার খেতে হল তার ভাইকে। দাপুটে একজন তৃণমূল নেতা জেলবন্দি হতেই এইভাবে তার ভাই অসহায় হয়ে পড়বেন তার রীতিমতো লজ্জাজনক ঘটনা।
অনুব্রত মন্ডলের তুতো ভাই সুমিত মন্ডল (Sumit Mondal) একসময় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এবং বিজেপিতে দীর্ঘদিন কাটানোর পর ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন করেন। পেশায় শিক্ষক সুমিত মন্ডলকে মঙ্গলবার রাতে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠল দুই দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোলপুরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এমনকি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশি অসহযোগিতার অভিযোগও তুলেছেন আক্রান্ত সুমিত মন্ডল।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে বোলপুরের নিচুপট্টির অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ি সংলগ্ন বারিপুকুরের কাছে বিসর্জন ছিল। সেই সময়ই দুজন দুষ্কৃতী সুমিত মন্ডলকে মারধর করে এবং রক্তাক্ত অবস্থায় সুমিত মন্ডল বোলপুর থানায় পৌঁছান। অভিযোগ সেখানে লিখিত অভিযোগ জানানো সত্বেও পুলিশ তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই থানাতে পড়ে থাকেন আহত সুমিত মন্ডল এবং ঘটনার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পরে ভাইরাল হয়।
আক্রান্ত অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মন্ডল দাবি করেছেন, অনুব্রত মন্ডলের ভাই বলেই তাকে মারধর করা হয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে এমন মারধরের অভিযোগ উঠেছে তারা হলেন কামরুল আলী এবং আকাশ কুন্ডু। এই দুজন তার মাথা ফাটিয়ে দেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে পুলিশের অসহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে সুমিত দাবি করেছেন, তার দাদা অনুব্রত মণ্ডল জেলবন্দি বলেই তাকে সহযোগিতা করা হয়নি।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে তাতে দেখা গিয়েছে, মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মন্ডল বোলপুর থানায় ছটফট করছেন। তিনি সেই সময় বারবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু পুলিশ সেই সময় তাকে সহযোগিতা করেনি বলে অভিযোগ। যদিও এই ঘটনার পিছনে কোন রাজনৈতিক কারণ অথবা অন্য কোন বিবাদ লুকিয়ে রয়েছে কিনা তা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি।