BRTC is thinking of running India-Bangladesh bus out of a total of three international routes: বাংলাদেশবাসীর সুবিধায় তৎপর বিআরটিসি। দেশবাসীর যানজটের সমস্যা এড়াতে নয়া সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের। বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার বাড়তি চাপের মোকাবিলা করতে বাস বৃদ্ধির পরিকল্পনা বাংলাদেশের। মোট আন্তর্জাতিক তিনটি রুটের মধ্যে ভারত-বাংলাদেশ বাস (Bharat-Bangladesh Bus Route) চালানোর চিন্তাভাবনা বিআরটিসির। অনুমোদন পেলেই শুরু হবে কাজ। ইতিমধ্যেই চলছে তিনটি রুটের সমীক্ষা।
প্রসঙ্গত, বহুদিন ধরেই কাজের সূত্রে বাংলাদেশের মানুষেরা ভারতে আসছে। তবে বর্তমানে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ চিকিৎসা করতে আসছে তো কেউ ঘুরতে। ফলে চাপ বাড়ছে ভারত-বাংলাদেশ রুটের (Bharat-Bangladesh Bus) বাস-ট্রেনে। ফলেই দাবি উঠছে এই রুটে ট্রেন ও বাস বৃদ্ধির। সেই সমস্যা এড়াতেই নয়া পদক্ষেপ বিআরটিসির।
সাম্প্রতিক সময়ে শ্যামলী এনআর পরিবহন বিআরটিসির তত্ত্বাবধানে ভারত-বাংলাদেশের যাতায়াতের জন্য মোট পাঁচটি রুটে বাস পরিচালনা করে। যেমন ঢাকা-কলকাতা, ঢাকা-খুলনা-কলকাতা, ঢাকা-আগরতলা, আগরতলা-ঢাকা-কলকাতা এবং ঢাকা-শিলং-গুয়াহাটি এই রুটগুলিতে প্রায় মাথাপিছু ১৫০০ টাকা খরচ করে ৯-১০ ঘন্টার মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। শুধু বাস নয়, ঢাক-কলকাতা, ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি, খুলনা-কলকাতা রুটে ট্রেনও চলাচল করে। তবে এবার সেই যাত্রীর চাপ কমাতে আন্তর্জাতিক রুট সম্প্রসারণের চিন্তাভাবনা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের।
আরও পড়ুন ? Dhaka Kolkata Train Fare: একলাফে বেড়ে গেল ট্রেনের ভাড়া, অনেকটাই খরচ বাড়ল বাংলা-বাংলাদেশ ভ্রমণের
খবর রয়েছে, চট্টগ্রাম-ঢাকা-কলকাতা, কক্সবাজার-চট্টগ্রাম-আগরতলা এবং ঢাকা-শিলিগুড়ি এই তিনটি রুটে ভারত-বাংলাদেশের বাস সার্ভিস চালু করার পরিকল্পনা হয়েছে। তবে এই সম্ভব্যতা নিয়েই শুরু হয়েছে এই তিন রুটের সমীক্ষা। এ বিষয়ে বিআরটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডাকা হবে। সেখানে যদি এই তিনটি রুটে বাস চালানোর অনুমোদন পাওয়া যায় তাহলে বিআরটিসি বাস সার্ভিস অত্যন্ত ভালো হবে। তার আশা রাখছে যে তাদের এই সিদ্ধান্তে অনুমোদন পাওয়া যাবে।
তবে শুধু আন্তর্জাতিক রুট (Bharat-Bangladesh Bus) নয়, বাংলাদেশের ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উদ্ভাবনী বাস সার্ভিস চালু করেছে বিআরটিসি। ইতিমধ্যে তার প্রতিক্রিয়াও পেয়েছে। এই রুটে বাস চালু হয়ে যাত্রীরা যেমন খুশি হয়েছে তেমনি আর্থিকভাবে লাভের মুখ দেখেছে বিআরটিসি। যাত্রী অনুযায়ী বাসের সংখ্যাও বৃদ্ধি করেছে। যা জনগণকে যেমন সেবা দিচ্ছে তেমনি আয় উন্নতিও হচ্ছে। শুধু তাই না, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ রোডেও পর্যটকদের জন্য চালু হয়েছে ছাদখোলা টুরিস্ট বাস। তবে এবার পরিকল্পনা রয়েছে স্কুল বাস এবং ইলেকট্রিক এসি বাস সহ বেশ কিছু পরিবেশবান্ধব বাস চালু করার। যা জানিয়েছে বিআরটিসি চেয়ারম্যান তাজুল। তবে কতটা সফলতা পায় সেটাই দেখার।