নিজস্ব প্রতিবেদন : গত জুলাই মাসের ৩ ও ৪ তারিখ থেকে জিও, এয়ারটেল এবং ভিআই তাদের ট্যারিফ প্ল্যান বৃদ্ধি করার পর থেকেই গ্রাহকরা রীতিমতো অস্বস্তির মধ্যে পড়েছেন। এক ধাক্কায় অনেকটাই খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে গ্রাহকদের বড় অংশ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন এবং তারা সস্তার নেটওয়ার্ক খুঁজছেন। অনেকেই আবার একাধিক সিম কার্ড ছেড়ে একটি সিম কার্ড ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।
যে সকল গ্রাহকরা সস্তার টেলিকম নেটওয়ার্ক খুঁজছেন তাদের হাতে বর্তমানে সেই রকম সুযোগ নেই বললেই চলে। কেননা খরচ তিন বেসরকারি টেলিকম সংস্থায় একসঙ্গে বাড়িয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খরচ বাঁচানোর জন্য সস্তার টেলিকম নেটওয়ার্ক বলতে রয়েছে কেবলমাত্র BSNL। এক্ষেত্রে বলা যায়, বিএসএনএল বর্তমানে শুধু সস্তা নয়, অনেকটাই সস্তা।
বিএসএনএল-এর যে সকল প্ল্যান রয়েছে সেই সকল প্ল্যানের মধ্যে একটি প্ল্যানের খরচ মাত্র ১০৮ টাকা। যে ১০৮ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে ২৮ দিনের ভ্যালিডিটি এবং তার সঙ্গে আনলিমিটেড কল, প্রতিদিন ১ জিবি করে ডেটা এবং প্রতিদিন ১০০ টি করে এসএমএস। ভারতে আর কোন টেলিকম সংস্থা নেই যারা এমন সুবিধা দিতে সক্ষম। তবে এত সস্তায় এমন পরিষেবা পেতে হলে রয়েছে নির্দিষ্ট পদ্ধতি।
আমরা প্রত্যেকেই জানি, এখন অন্যান্য টেলিকম সংস্থার খরচ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে বহু গ্রাহক জিও, এয়ারটেল, ভিআই ছেড়ে BSNL-এ নিজেদের নম্বর পোর্ট করছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন যারা নতুন সিম কার্ড নিচ্ছেন। বিএসএনএল সংস্থায় এইভাবে গ্রাহকদের ভিড় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের সিম কার্ড বিক্রি এখন বেড়ে গিয়েছে ৬০০ থেকে ৭০০ শতাংশ। ১০৮ টাকার ওই অফার পাওয়া যেতে পারে মূলত এই পদ্ধতিতেই।
১০৮ টাকায় এমন দুর্দান্ত অফার পাওয়া যাবে যদি কোন গ্রাহক অন্য কোন নেটওয়ার্ক থেকে পোর্ট করে বিএসএনএল-এ আসেন অথবা BSNL এর নতুন সিম কার্ড কেনেন তাহলে। এক্ষেত্রে নম্বর পোর্ট করার পর বিএসএনএল নেটওয়ার্ক সক্রিয় হলে ১০৮ টাকার প্রথম রিচার্জ বা FRC করতে হবে। আর ১০৮ টাকা দিয়ে এফআরসি করলেই গ্রাহকের নম্বরে ওই সব সুবিধা চলে আসবে। এই সুবিধা অবশ্য কেবলমাত্র প্রথমবারের জন্যই পাওয়া যায়। পরবর্তীতে গ্রাহকদের অন্যান্য প্ল্যানগুলি বেছে নিতে হয়। তবে প্রথমবার হোক বা অন্য কিছু, ১০৮ টাকার বিনিময়ে কিন্তু কোন টেলিকম নেটওয়ার্ক এমন সুবিধা দিতে সক্ষম নয়।