নিজস্ব প্রতিবেদন : 4G পরিষেবা হোক অথবা অন্যকোন পরিষেবার ক্ষেত্রে দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিকম সংস্থা BSNL অন্যান্য বেসরকারি টেলিকম সংস্থারগুলির তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও খরচের দিক দিয়ে সব সময় গ্রাহকদের স্বস্তি দেয় BSNL। যেকোনো ধরনের রিচার্জ প্ল্যানের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় এই টেলিকম সংস্থা অন্যান্য প্রতিটি টেলিকম সংস্থার তুলনায় অনেক সস্তায় পরিষেবা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে দীর্ঘমেয়াদি প্ল্যানের ক্ষেত্রে ধারে কাছে নেই Jio, Airtel, Vi।
যেখানে মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা রিলায়েন্স জিও ভারতীয়দের সামনে সবচেয়ে সস্তায় পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারাও BSNL-এর দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানের সামনে খরচের ক্ষেত্রে লজ্জা পাবে। আর BSNL-এর এই দরাজ মনোভাবের সামনে Airtel, Vi অনেকটাই পিছিয়ে।
দীর্ঘমেয়াদী প্ল্যানের ক্ষেত্রে BSNL গ্রাহকরা মাত্র ২৩৯৯ টাকায় পেয়ে থাকেন ৩৬৫+৯০ দিনের ভ্যালিডিটি। এর সঙ্গে রয়েছে ভারতবর্ষের যেকোনো নেটওয়ার্কে আনলিমিটেড কল, প্রতিদিন ৩ জিবি করে ডেটা, প্রতিদিন ১০০টি করে এসএমএস।
এই একই ধরনের সুবিধা মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার গ্রাহকরা পেতে চাইলে তাদের খরচ করতে হবে ৩৪৯৯ টাকা। আবার এই সংস্থার গ্রাহকরা ভ্যালিডিটি পাবেন ৩৬৫ দিন। অর্থাৎ বিএসএনএল গ্রাহকদের যেমন ১১০০ টাকা সঞ্চয় হচ্ছে, তেমনি ৯০ দিনের বাড়তি ভ্যালিডিটি পাচ্ছেন।
অন্যান্য রিচার্জ প্ল্যানগুলির ক্ষেত্রেও মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার তুলনায় BSNL গ্রাহকরা অনেক সস্তায় অনেক বেশি পরিষেবা পেয়ে থাকেন। যেমন ৫৯৯ টাকায় BSNL গ্রাহকরা প্রতিদিন ৪ জিবি করে ডাটা পান ৮৪ দিনের জন্য। এমন একাধিক রিচার্জ প্ল্যান রয়েছে।
তবে রিলায়েন্স জিও তাদের গ্রাহকদের 4G পরিষেবা দিয়ে থাকলেও BSNL কিন্তু এখনও পর্যন্ত দেশজুড়ে 4G পরিষেবা কার্যকর করতে সক্ষম হয়নি। সেই জায়গায় 4G নেটওয়ার্কের বিচারে অবশ্যই মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থার দেশের মধ্যে সবচেয়ে সস্তা টেলিকম নেটওয়ার্ক। আবার বহু গ্রাহক অভিযোগ করে থাকেন, রিলায়েন্স জিও 4G পরিষেবা দিলেও তাদের ডেটা স্পিড খুব নগণ্য।