Jio-কে টেক্কা দিতে 4G নেটওয়ার্ক নিয়ে এলো BSNL

নিজস্ব প্রতিবেদন : আরও দমদার ভারতের টেলিকম বাজার। ৪জি পরিষেবায় ভারতীয় টেলিকম বাজারে একচ্ছত্র স্থান দখল করে থাকা জিওকে টেক্কা দিতে ভারতবর্ষজুড়ে খুব শীঘ্রই বিএসএনএল আনছে ৪জি পরিষেবা। ইতিমধ্যেই কলকাতার মানুষকে বড় উপহার দিয়ে এই ৪জি পরিষেবা চালু হলো কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় পরীক্ষামুলকভাবে।

কলকাতার বড়বাজার, এসপ্ল্যানেড ও দ্বিতীয় হুগলি সেতুর মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলকভাবে গত বুধবার থেকে ৪জি পরিষেবা চালু করে দিলো বিএসএনএল। এছাড়াও বিএসএনএল বেশ কয়েক মাস ধরে তাদের গ্রাহকদের সিম কার্ড ৪জিতে রুপান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। শুধু কলকাতা নয়, বিএসএনএল ইতিমধ্যেই পরিষেবা পরীক্ষামূলকভাবে তাদের ৪জি পরিষেবা চালু করেছে রাজ্যের আরও কয়েকটি জায়গায়, এছাড়াও দেশের কর্ণাটক, কেরালা, চেন্নাই, গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানায়। আশা করা যায় ২০২০ সালের মার্চের শেষে বিএসএনএলের অফিশিয়াল ৪জি পরিষেবা চালু হওয়া শহরগুলির মধ্যে কলকাতা অন্যতম হিসাবে থাকতে পারে।

বিএসএনএল বর্তমানে তাদের ৪জি পরিষেবা চালু করার কোনরকম অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি জারি না করলেও তাদের কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার আরও বেশ কয়েকটি জায়গায় ৪জি পরিষেবাকে পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হচ্ছে। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যেই সমস্ত অঞ্চলে বিএসএনএল ৪জি পরিষেবা চালু করে দিতে পারে। ইতিমধ্যে যে সমস্ত জায়গায় পরীক্ষামুলকভাবে বিএসএনএলের ৪জি পরীক্ষা চলছে, সেই সমস্ত এলাকায় নামমাত্র মূল্যে ৯৬ টাকা মূল্যে দিনে ১০ জিবি করে ডেটা দেওয়া হচ্ছে ২৮ দিনের জন্য। এছাড়াও আরও একটি প্ল্যান রয়েছে যেটি হল, ২৩৬ টাকা ৮৪ দিনের জন্য প্রতিদিন ১০ জিবি করে ডেটা।

পরীক্ষামূলক পর্যায়ে যে সমস্ত গ্রাহকরা এই বিএসএনএল ৪জি পরিষেবাকে বহন করছেন তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী কলকাতায় ১০.৮ এমবিপিএস ডাউনলোড স্পিড ও ১.৯৭ এমবিপিএস আপলোড স্পিড পাওয়া যাচ্ছে। তবে বিএসএনএলের দাবি, ডাউনলোড স্পিড ১৭.৯ এমবিপিএস, আর আপলোড স্পিড ৭.৩৭ এমবিপিএস পর্যন্ত পাওয়া যাবে।

প্রসঙ্গত, যে সমস্ত জায়গায় বিএসএনএল ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ৪জি পরিষেবা চালু করেছে সেই সমস্ত জায়গার গ্রাহকদের ৪জি পরিষেবা পেতে হলে তাদের ২জি অথবা ৩জি সিমকে ৪জিতে আপগ্রেড করতে হবে।