প্রসূন দাস : আরও বাড়লো বীরভূমের শাসকদল তৃণমূলের সংগঠন। শুক্রবার বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিআইএম নেতা মনসা হাঁসদার ছেলে বুদ্ধদেব হাঁসদা। পাশাপাশি এদিন যোগ দিয়েছেন দুই থেকে আড়াই হাজার জন কর্মী সমর্থক। এই সকল কর্মী-সমর্থকরা বুদ্ধদেব হাঁসদার হাত ধরেই এদিন শাসক দলে নাম লেখালেন। তবে মনসা হাঁসদা বামফ্রন্টের নেতা হলেও এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি করতেন বলেই দাবি করা হয়েছে শাসকদলের তরফে।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন যেসকল কর্মী-সমর্থকরা তৃণমূলে নাম লেখালেন তারা বোলপুরের বাহিরি, পাঁচশোয়া, সিয়ান, মুলুকের বাসিন্দা। বিধানসভা নির্বাচনের সময় তারা বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় পড়ে বিজেপি করতে শুরু করেছিলেন এবং বর্তমানে ভুল বুঝে তারা তৃণমূলের উন্নয়ন শামিল হলেন বলে দাবি করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া মনসা হাঁসদার ছেলে বুদ্ধদেব হাঁসদার ভূয়শী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “ওর মধ্যে মানুষকে বোঝানোর ক্ষমতা রয়েছে। শিক্ষিত ছেলে। ভালো কথা বলতে পারে। ওকে আমরা জেলা কমিটির একজন সদস্য হিসাবে জায়গা করে দেব। জেলা কমিটির পরের বৈঠকেই জেলা কমিটির সদস্য পদ দেওয়া হবে বুদ্ধদেব হাঁসদাকে।”
বাম জমানায় সিপিআইএম নেতা মনসা হাঁসদা ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাপতি। এদিন তার সম্পর্কেও অনুব্রত মণ্ডলের গলায় ভূয়সী প্রশংসা শোনা যায়। অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “মনসা হাঁসদা জীবনে কারোর সাথে ঝগড়া করে নাই। ও যখন সিপিআইএম করত জীবনে কারোর সাথে ঝগড়া ছিল না। ও সব লোককে ভালোবাসতো।”
তবে তিনিও কি তৃণমূলে আসতে চলেছেন, ছেলের তৃণমূলে যোগ দেওয়া নিয়ে যখন এই জল্পনা তৈরি হচ্ছে তা নিয়ে অবশ্য অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “দেখো একটা তো অভিরুচি থাকে। ও দীর্ঘদিন বামফ্রন্টটা করে। তার পক্ষে আসাটা অসুবিধা আছে। তবে হাত তো বাড়িয়ে দেয় মানুষকে।”