ঢুকে পড়ল ‘বুলবুল’, শুরু তাণ্ডবলীলা, দেখুন বুলবুল-এর Live গতিবিধি

নিজস্ব প্রতিবেদন : গঙ্গাসাগরে ঢুকে পড়লো ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। ঢুকেই নিজের ক্ষমতা দেখাতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিঝড়। ঝড়ের গতিবেগ ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি বাড়ি। এই মুহূর্তে ফ্রেজারগঞ্জে অবস্থান করছে বুলবুল। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় প্রশাসনের তরফ থেকে সমস্ত রকম পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলা করতে তৈরি নৌ বাহিনী। বঙ্গোপোসাগরে মোতায়েন করা হয়েছে নৌসেনার এয়ারক্রাফট। টহলদারি চলছে বিশাখাপত্তনমেও।

নবান্নে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সেখান থেকে বসেই গোটা পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইট বার্তায় মানুষকে সচেতন করেছেন তিনি। সবাইকে নিরাপদে থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

সন্ধ্যা নামতেই দিঘা, মন্দারমনিতে প্রবল জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। সঙ্গে প্রবল গতিতে বইছে ঝড়ো হাওয়া। পূর্বাভাস, বুলবুল আছড়ে পড়ার পর ঝড়ো হাওয়ার বেগ আরও বাড়বে বলে মনে করছে। পাশাপাশি জনমানবহীন দিঘা। সকালের মধ্যেই সেখানে সমস্ত পর্যটকদের বার করে দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত যারা দিঘা, মন্দারমণিতে আটকে রয়েছেন তাদেরকে খুব দরকার না পড়লে রাস্তায় না বের হওয়ার জন্যেই জানানো হয়েছে। বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ। ফলে কার্যত অন্ধকারে ডুবে গোটা দিঘা শহর।

সন্ধ্যার গড়াতে হাওয়ার দাপট আরও বাড়তে থাকবে। ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকবে হাওয়া। উপকূলের জেলাগুলিতে জারি করা হয়েছে চরম সর্তকতা। ৮৪ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নিরাপদ স্থানে। কলকাতাসহ পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সকাল থেকেই চলছে নাগাড়ে বর্ষণ। কড়া নজরদারি চলছে দীঘা, মন্দারমনি এবং তাজপুরে।

মৎস্যজীবীদেরকেও আগামী ২৪ ঘন্টা সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রের ট্রলার বা নৌকা নিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছেন তাদেরকে দ্রুত আশেপাশের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে চলছে বিশেষ ত্রাণ শিবির খোলার ব্যবস্থা।

দেখুন বুলবুল -এর Live স্থিতি..

শেষ উপগ্রহ চিত্র অনুযায়ী, কলকাতা থেকে বুলবুল ১৮০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সন্ধ্যে ৭ টার পর হাওয়ার দাপট বাড়বে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে সমুদ্রের গতিবেগ বেশি থাকলেও স্থলভাগের আছড়ে পড়ার পর গতিবেগ অনেকটাই কমে যাবে। বুলবুলের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। অন্তিম মুহূর্তে শক্তি বৃদ্ধি পেয়ে বুলবুল এর গতিবেগ ১৩৫ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যেতে পারে।