Bullet train in India: বন্দে ভারত অতীত! রেলের এই উদ্যোগে সাধারণ এক্সপ্রেস ট্রেনই ছুটবে বুলেটের গতিতে

Additional speed is coming in express train for the convenience of passengers: আশাকরি ট্রেনে চড়ে ঘুরতে যেতে সবারই ভালো লাগে। সাধারণ মধ্যবিত্তদের জন্য সস্তায় ট্রেন জার্নি মন্দ হয় না। বেশ আরাম করেই চলে যাওয়া যায় দূর দূরান্তে। ভারতের জনগণ গতিমান এক্সপ্রেস, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, শতাব্দী এক্সপ্রেসের মতো দ্রুততম ট্রেনে করে ঘুরতে যেতে খুবই পছন্দ করে। কারণ অল্প সময়ে পৌঁছে যাওয়া যায় গন্তব্যস্থলে। ভারতীয় রেলের নতুন পদক্ষেপ হলো এক্সপ্রেস ট্রেনে আসছে ঝড়ের গতি (Bullet train in India)।

সূত্রের মাধ্যমে জানা গেছে যে, নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে জোন (North Eastern Railway zone) তাদের চারটি বিভাগে যেসব দূরপাল্লার ট্রেন চলাচল করে তাদের গতি বাড়ানোর কথা পরিকল্পনা করছে। এই ট্রেনগুলোর গতি বাড়ানোর সাথে সাথেই আরো বিভিন্ন ট্রেনের জন্য ট্র্যাকে জায়গা সরবরাহ করবে। ট্রেনের গতি বাড়লে সময় অনেকটাই বাঁচবে (Bullet train in India)। উত্তর পশ্চিম রেলওয়ে বিভাগে নানা রকমের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছে। রেলের কাজ চলছে জোরকদমে এবং সব যদি ঠিক থাকে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এনডব্লিউআর-এ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলবে।

প্রসঙ্গত নর্থ ওয়েস্টার্ন রেলওয়ের সিপিআরও ক্যাপ্টেন শশী কিরণ কি বলেছেন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি? তার বক্তব্য অনুসারে, জয়পুর থেকে কলকাতা, জয়পুর থেকে চেন্নাই, জয়পুর থেকে মুম্বাই, জয়পুর থেকে পাটনা, বিকানের থেকে মুম্বাই, যোধপুর থেকে মুম্বাই এবং ঠিক এরকমভাবেই আজমীর পর্যন্ত ট্রেনের গতি আগের থেকে অনেকটাই বাড়ানো হবে। বর্তমানে যাত্রীদের এই দীর্ঘ পথ পেরোতে সময় লাগে ২৪ ঘণ্টা কিন্তু তখন খুব সহজেই বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় লাগবে। সেই কারণেই এনডব্লিউআর(Bullet train in India)রাজধানী ও এক্সপ্রেস ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটারে নিয়ে যাওয়ারও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।

তবে এই উন্নত চিন্তাভাবনার ক্ষেত্রেও আরেকটি বাধা আসতে পারে, তাহল ট্রেনের ট্রাকে হঠাৎ করে চলে আসে গবাদি পশু। এই ট্র্যাকগুলির চারপাশে রয়েছে গ্রাম এবং অসংখ্য খামার। তারফলে যখনই পশুরা দৌড়ানোর সময় বা চারণের সময় ট্রেনের সামনে চলে আসবে ঘটে যাবে বিপদ। কারণ ট্রেনের (Bullet train in India) গতি আগের থেকে অনেকটাই বেশি হবে। শুধু পশুরাই নয় এর থেকে ট্রেনের বিপদ হতে পারে।

সময় কমাতে ট্রেনের উচ্চ গতি করা হলেও কোথাও একটা দুর্ঘটনার ঝুঁকি থেকে যায়। বেশিরভাগ জায়গায় রেললাইনের পাশে বেড়া ও কাঠের মোটা প্রাচীর নির্মাণ করা হচ্ছে। পশুরা যাতে না আসে তাই এই বেড়া লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে রেললাইনের ধারে। এরফলে ট্রেন বিনা বাধায় দ্রুত গতিতে চলাচল করতে পারবে। এনডব্লিউআর-এর এই উদ্যোগ আদৌ কতটা সফল হবে, তা শুধু সময়ের অপেক্ষা।