Bullet Train Station: যত দিন যাচ্ছে ততই আধুনিক হচ্ছে ভারতীয় রেল। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেন। খুব শীঘ্রই ভারতীয় জনগণ সাক্ষী হতে চলেছে বুলেট ট্রেনের। ভারতের জনগণ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে রয়েছে বুলেট ট্রেনের। কবে থেকে চালু হবে? কেমন হবে বুলেট ট্রেনের স্টেশন? এরকম প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে সকলের মনে। আজকের এই প্রতিবেদনে জানতে পারবেন এই বুলেট ট্রেন সম্পর্কেই।
জানেন কবে চলবে বুলেট ট্রেন? অনেকেই হয়তো এই সম্পর্কে সঠিক কোন উত্তর জানেন না, তাহলে মনোযোগ সহকারে পড়ুন আজকের এই প্রতিবেদনটি। দেশে প্রথম ২০২১ সালের নভেম্বরে শুরু হয়েছিল নির্মাণকাজ। সেই থেকে শুরু অপেক্ষা, এবার হয়তো তার অবসান হবার পালা। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করা হয়েছে গুজরাটের আনন্দে নির্মীয়মান বুলেট ট্রেন স্টেশনের (Bullet Train Station) একটি ভিডিয়ো। রেলমন্ত্রক থেকে এই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করা হয়েছে। দর্শকেরা স্টেশনটির একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ পাবে ভিডিয়োর মাধ্যমে। স্টেশনটির ভিতরে এবং বাইরে কী কী বৈশিষ্ট্য রয়েছে, সবটাই দেখতে পারবেন এই ভিডিওতে।
ভিডিওটির ক্যাপশনে রেলমন্ত্রক আরো লিখে দিয়েছে যে, গুজরাটের আনন্দে অটল অগ্রগতির সঙ্গে রূপ নিচ্ছে গতি এবং উন্নত রেল পরিকাঠামোর আধুনিক সিম্ফনি, বুলেট ট্রেন স্টেশন (Bullet Train Station)। ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ। আধুনিক প্রযুক্তি যেভাবে দিনকে দিন উন্নতি লাভ করছে তাতে সারাদেশে শীঘ্রই ছড়িয়ে পড়বে এই বুলেট ট্রেন।। তবে সম্প্রতি সম্পূর্ণ হওয়ার পথে গুজরাটের সুরাটের বুলেট ট্রেন স্টেশন৷
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব ২০২৩ সালে জানিয়েছিলেন, গুজরাটের বিলিমোরা এবং সুরাটের মধ্যে বুলেট ট্রেনটি প্রথম চালু হবে। ভারতের পরিবহন ব্যবস্থায় এক যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে চলেছে। ২০২৬ সালের আগস্ট মাসে শেষ হবে এই ৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ লাইন পাতার কাজ। মোট মুম্বই থেকে আহমেদাবাদ পর্যন্ত ৫০৮ কিলোমিটার রাস্তা চলার কথা বুলেট ট্রেনের। প্রতি ঘন্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে চলবে এই ট্রেন। মুম্বাই থেকে আহমেদাবাদ যাওয়া এখন নিমেষের কাজ, চলে যাওয়া যাবে দুই ঘন্টাতেই।
প্রথমে যাত্রা শুরু হবে মুম্বই থেকে, তারপর থানে, ভিরার, বোইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, ভরুচ, ভদোদরা, আনন্দ, আহমেদাবাদ – বুলেট ট্রেন তার যাত্রা শেষ করবে ১০টি স্টেশন হয়ে সবরমতিতে (Bullet Train Station)। যখনই এই পরিষেবার কাজ পুরোপুরি শেষ হবে তখন দিনে ৩৫টি করে বুলেট ট্রেন চলবে। প্রতিদিন প্রায় ৭০টি যাত্রা করবে বুলেট ট্রেন। রেলমন্ত্রক ইতিমধ্যে ঘোষনা করেছে যে, ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতিদিনের যাত্রার সংখ্যা বাড়িয়ে ১০৫ করা হবে এমনটাই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে আনুমানিক ১.৬ কোটি মানুষ প্রতি বছর বুলেট ট্রেনে যাতায়াত করবেন।