Bangladesh Hilsa: বাজারে বাংলাদেশের ইলিশ থাকা সত্ত্বেও আগ্রহ নেই ক্রেতাদের, কেন কিনছেন না মানুষ

Prosun Kanti Das

Updated on:

Advertisements

Bangladesh Hilsa: বাংলার ইলিশ বঙ্গে আসা নিয়ে বরাবরই চলে এসেছে নানারকম টানাপড়েন। তবে অবশেষে এরাজ্যে এসেছে বিশাল পরিমাণ বাংলাদেশের ইলিশ। শুধুমাত্র কলকাতার বাজারেই নয় পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন বাজারে ইতিমধ্যেই প্রবেশ করে গেছে বাংলার ইলিশ। বাদ যায়নি শিলিগুড়ির পাইকারি বাজারও। তাহলে অন্য মরশুমের মত কেন খদ্দের নেই এই ইলিশের জন্য? খদ্দের অর্থাৎ খুচরো ব্যবসায়ীরাই সেই মাছ কিনলেন না। ফলে শিলিগুড়ির মাছ বাজারগুলিতে এবার ঢুকলোই না বাংলাদেশের ইলিশ।

Advertisements

এই মাছ না কেনার পিছনে আসল কারণ কি জানেন? উত্তরবঙ্গের মানুষ বরাবর পদ্মা মেঘনার ইলিশের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকে। তাহলে এবছর এমন কি হলো যে পদ্মা-মেঘনার ইলিশ (Bangladesh Hilsa) এলেও তা থেকে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে ব্যবসায়ীরা? রাজ্যের মৎস্য ব্যবসায়ীরা বলেছেন যে, সূত্র মারফত জানা গেছে বাংলাদেশ থেকে তাজা ইলিশ আসার কোনরকম সম্ভাবনা এ বছর নেই। যে বিশাল পরিমাণ ইলিশ মাছ বৃহস্পতিবার ঢুকেছে তাতে প্রচুর পরিমাণে লবণ ও বরফ মেশানো। অর্থাৎ বাংলাদেশেই এই মাছ অন্তত পাঁচ-ছয়দিন আগে তোলা হয়েছে। এই মাছ যদি ফ্রিজারে রাখা হয় তাহলেও ভালো থাকবে না। সেইজন্য ব্যবসায়ীরাও এবার বাংলাদেশের মাছ নিয়ে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।

Advertisements

রাজ্যের মানুষের মধ্যে লক্ষ্য করা গেছে বাংলাদেশের পণ্য নিয়ে অনীহা, এই কারণে বহু ব্যবসায়ী বাংলাদেশের মাছ (Bangladesh Hilsa) কিনতে একেবারে নারাজ। গেটবাজার, সুভাষপল্লি বাজারের কিছু বিক্রেতা জানিয়েছেন, সারা বছরই বাজারে ইলিশ মাছ বিক্রি হয় তাই বাংলাদেশের ইলিশ মাছের প্রতি আর তাদের আগ্রহ নেই। বাড়তি দাম দিয়ে বেশিরভাগই ওই ইলিশ কিনতে চাইছেন না। বাসি মাছ বেশি দাম দিয়ে কোন ব্যবসায়ী কিনতে চাইছেন না।

Advertisements

আরো পড়ুন: অবশেষে ভারতীয় বাজারে এলো বাংলাদেশের ইলিশ, আকার আকৃতিতে হতাশ করলো গ্রাহকদের

গোটা উত্তরবঙ্গে ইলিশ মাছ পাওয়া যায় শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেট থেকে এবং এখান থেকেই পাহাড়-সিকিম, নেপাল ও বিহারের প্রান্তিক বাজারগুলিতে মাছ পাঠানো হয়। শিলিগুড়ি রেগুলেটেড মার্কেটের ফিশ মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বাপি চৌধুরী সংবাদমাধ্যমের সামনে জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশের ইলিশের (Bangladesh Hilsa)বাড়তি দাম মানুষের অনাগ্রহের মূল কারণ। যেভাবে রাজ্যে টানা বৃষ্টি হচ্ছে তাতে মানুষের আনাগোনা বাজারে এমনিই কমে গেছে। এছাড়া দাম অনেকটাই বেশি পড়ছে।

বাংলাদেশ থেকে বৃহস্পতিবার বঙ্গে এসেছে প্রায় ৪০ টন রুপোলি ইলিশ (Bangladesh Hilsa)। তার মধ্যে শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে শুক্রবার সকালে এক টন অর্থাৎ ১০ কুইন্টাল ইলিশ পৌঁছেছে। এইসব ইলিশের ওজন ৭৫০ গ্রাম থেকে শুরু করে ১২০০ গ্রাম পর্যন্ত। এক কেজির বেশি ওজনের মাছের দাম এই দিন ছিল ১৮০০ টাকা, এক কেজির কম ওজনের ইলিশ ১৬০০ টাকা কেজি। তবে মাত্র চার কুইন্টালের মতো ইলিশ বিক্রি হয়েছে। এই সময় অন্যান্য বছর বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা অনেকটাই বেশি থাকে। গেটবাজার, বাগডোগরা, মাটিগাড়া বাজারে ইলিশ গেলেও, মূল শহরের ৩০টির বেশি বাজারের বিক্রেতারা এই বাসি মাছ কিনতে আগ্রহী নয়। বরফের মাছ এত দাম দিয়ে কিনে বিক্রি করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। তার উপরে টানা বৃষ্টিতে বাজারে লোক কম। সম্প্রতি বাজারে বিক্রি হচ্ছে দিঘা, মুম্বইয়ের কিছু ইলিশ।

Advertisements