CAA: শুধু সময়ের অপেক্ষা, এবার চালু হতে চলেছে CAA, ডেট নিয়ে বড় জল্পনা

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে বেআইনি অনুপ্রবেশ ঠেকানোর জন্য ১৯৫৫ সালে তৈরি করা হয়েছিল নাগরিকত্ব আইন (CAA)। এরপর কেন্দ্রে বিজেপি সরকার এলে ২০১৯ সালে তাদের তরফ থেকে এই আইনে সংশোধনী আনা হয়। যে সংশোধনী আইনে আগের নাগরিকত্ব আইনের দু’নম্বর ধারায় সংশোধন এনে ২(১)বি যুক্ত করা হয়। এই সংশোধনী বিল পার্লামেন্টের উভয়পক্ষে পাস হওয়ার পর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে আইনে পরিণত হয়েছে। তবে তা এখনো লাগু হয়নি।

বিজেপির যে ইস্তেহার ছিল তাতে CAA লাগু করার উল্লেখ ছিল। কিন্তু তা এখনও পর্যন্ত লাগবো না হওয়ার কারণে বিজেপির অন্দরেই ক্ষোভ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে এই ক্ষোভ খুব খুব তাড়াতাড়ি মিটতে চলেছে। কেননা এই আইন চালুর বিষয়ে এবার বড় জল্পনা তৈরি হলো। জল্পনা তৈরি হয়েছে সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের দাবি অনুযায়ী। এছাড়াও একাধিকবার এই আইন চালু নিয়ে একই রকম কথা শুনতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে অন্যান্যদের মুখেও।

নাগরিকত্ব আইনে ২০১৯ সালে যে সংশোধনী আনা হয় তাতে বলা হয়, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আগত হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, জৈন, পারসি সম্প্রদায়ের মানুষেরা ধর্মীয় কারণে নিপীড়িত হয়ে ভারতে এলে আর অনুপ্রবেশকারী হিসাবে চিহ্নিত হবেন না। তাদের ভারত সরকারের তরফ থেকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। কিন্তু এই সংশোধনী আইনে কিছু সম্প্রদায়ের উল্লেখ থাকার কারণে অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ ক্ষেপে ওঠেন। তারপরেই শুরু হয় দেশজুড়ে আন্দোলন।

আরও পড়ুন 👉 বাড়িতে বসেই ভারতের নাগরিকত্ব পেতে চান! রইলো Online-এ আবেদনের পদ্ধতি

নতুন নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হওয়া নিয়ে প্রথম থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষোভ বিক্ষোভ শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল যে, একের পর এক জায়গায় দেশের সম্পদ নষ্ট করতে দেখা যাচ্ছিল আন্দোলনকারীদের। রেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি জিনিসপত্র নষ্ট হয় বিক্ষোভকারীদের আন্দোলনের জেরে। যে কারণেই এই আইন লাগু হতে এত সময় নিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে এবার এই সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন আগামী মার্চ মাসেই হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। সারাদেশে এই বিধি প্রণয়নের জন্য কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই লাগু হয়ে যেতে পারে সংশোধনী নাগরিকত্ব আইন। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিজ্ঞপ্তি জারি করে কেন্দ্র সরকার এই আইন লাগু করার ঘোষণা করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলা সফর রয়েছে ১ মার্চ এবং ৭ মার্চ। মনে করা হচ্ছে ৭ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের আগেই CAA চালু করার ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র।