৬ জেলায় বন্ধ ইন্টারনেট, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ক্ষোভ বাড়ায় সিদ্ধান্ত নবান্নের

নিজস্ব প্রতিবেদন : লোকসভা ও রাজ্যসভা দুই সভায় ক্যাব বা নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাশ হয়। এরপর রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরে তা আইনে পরিণত। যার পরেই উত্তর-পূর্ব ভারতের আসাম ও ত্রিপুরার পাশাপাশি বিক্ষোভের আগুন জ্বলছে পশ্চিমবঙ্গেও। গত বৃহস্পতিবার থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই বিক্ষোভ আজও অব্যাহত রাজ্যের পাশাপাশি জেলাতেও। আন্দোলন উগ্র রূপ ধারণ করাতেই অশান্তি একের পর এক জায়গায়।

শনিবার নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভে তোলপাড় হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ, মালদা, হাওড়া। মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণপুর স্টেশনে জ্বালিয়ে দেওয়া হয় কমকরে চারটি ট্রেন। এছাড়াও ভাঙচুর করা হয় স্টেশন। উন্মত্ত জনতা তোলপাড় করে বেড়ায় হাওড়ার সলপ, কোনা এক্সপ্রেসওয়ে, উলুবেড়িয়া, উনসানি সহ একাধিক জায়গায়। বিক্ষোভের আগুন গ্রাস করে এক ডজনের বেশি গাড়ি। একাধিক স্টেশনে চালানো ভাঙচুর। রবিবারও বীরভূমের মুরারইয়ের হিয়াতনগরে মুরারই থেকে রঘুনাথগঞ্জ রাজ্য সড়ক উপর টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু করে বিক্ষোভকারীরা, নলহাটিতেও হয় পথ অবরোধ। আহমেদপুর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের একটি মিছিল বের হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মল্লিকপুর স্টেশন অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা।

বিক্ষোভ আজও অব্যাহত রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গাতেও। মহেশতলা থানার ডাকঘর থেকে ডাকঘরা জালখুরা পর্যন্ত রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ চলে বজবজ ট্যাঙ্করোড। নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে রবিবারও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় রেল অবরোধ, রাস্তা আটকে বিক্ষোভ হওয়ায় বাধ্য হয়েই কড়া পদক্ষেপের পথে রাজ্য সরকার।

পশ্চিমবঙ্গে ক্যাব বিরোধী আন্দোলন উগ্রতার পথে চলে যাওয়ায় মাঠে নামল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৬ জেলায় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল নবান্ন। এলাকাগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তর দিনাজপুর, মালদা, মুর্শিদাবাদ, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত ও বসিরহাট মহকুমা। এছাড়াও রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর ও ক্যানিং মহকুমা।