Digha Cable Landing Station: বাঙালির অত্যন্ত পছন্দের ঘোরার জায়গা হল দীঘা। রোজকার ব্যস্ত জীবন থেকে যদি কয়েক দিনের ছুটি নিতে চান তাহলে চট করে দীঘা ঘুরে আসতে পারেন। আমাদের সকলের পরিচিত এই দীঘাতে গড়ে উঠতে চলেছে ২০২৬ সালের মধ্যে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন। বৃহস্পতিবার কলকাতায় বণিকসভা বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি আয়োজিত ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক কনক্লেভ ২০২৪-এ মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান মুখ্য উপদেষ্টা অমিত মিত্র এই বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন। দীঘাতে এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি করে উঠতে চলেছে রিলায়েন্স জিওর তত্ত্বাবধানে।
তিনি আরো জানিয়েছেন যে বর্তমানে পূর্ব ভারতে কোনও কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন নেই সেই কারণেই সমস্ত আন্তর্জাতিক ডেটা মুম্বই অথবা চেন্নাই হয়ে ট্রান্সমিট হয়। খুব শীঘ্রই যদি দীঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন (Digha Cable Landing Station) চালু হয় তাহলে রাজ্যে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের জন্য একটা বিরাট পরিকাঠামো সৃষ্টি হবে। শিল্পের দিক থেকেও এটি যথেষ্ট লাভজনক প্রভাব ফেলবে। তাঁর মতে, নিউ টাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব ও অন্যান্য প্রকল্পের জন্য দীঘার এই কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন একেবারে আশীর্বাদ।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা জানিয়েছেন যে, ইতিমধ্যেই নিউ টাউনের বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে টিসিএস জমি নিয়েছে। তারা প্রায় ১৬,০০০ কর্মী নিয়োগ করবে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই। বর্তমানে রাজ্যে টিসিএস-এর কর্মী সংখ্যা হলো ৫০ হাজারের মতো।
আরো পড়ুন: বিল পেমেন্ট থেকে শুরু করে একের পর এক সুবিধা, নতুন হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর চালু করল WBSEDCL
কলকাতায় মার্কিন সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা সংস্থা গ্লোবালফাউন্ড্রিজ়-এর লগ্নি সংক্রান্ত হোয়াইট হাউসের বিবৃতি নিয়ে অমিত মিত্র জানান, বিগত কয়েক বছরে রাজ্য সরকার তথ্যপ্রযু্ক্তি নীতি ও পরিকাঠামোর ধারাবাহিকভাবে আপডেট করেছে। করণাকালে রাজ্য একটি ব্রডব্যান্ড নীতি ঘোষণা করেছিল, সেই কারণে টেলিকম ক্ষেত্রে বাংলায় ৭,৫০০ কোটি টাকার লগ্নি এসেছে।
ডেটা সেন্টার পলিসির জন্য রাজ্যে তৈরি হয়েছে মোট ১১টি সংস্থার ডেটা সেন্টার। এরমধ্যে সাতটি ডেটা সেন্টারের নির্মাণ কাজ বর্তমানে বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, এনটিটি গ্লোবাল, নেক্সজ়েন, এসটিটি, নেক্সট্রা এয়ারটেল, টাটা টেলিকম, রিলায়েন্স ও সিটিআরএলএস। অমিত মিত্র জানিয়েছেন যে, দীঘাতে রিলায়েন্স জিওর উদ্যোগে যে কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনটি (Digha Cable Landing Station) তৈরি হতে চলেছে তা সত্যিই আকর্ষণীয়। এছাড়াও প্রায় ২00 একর জমি সিলিকন ভ্যালি হাবে দেওয়া হয়েছে ৪১টি সংস্থাকে। সেখানে আর কোনও জমি পড়ে নেই।