নিজস্ব প্রতিবেদন : কলকাতা হাইকোর্টে নন্দীগ্রাম মামলায় নয়া মোড়। এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন আদালতের বিচারপতির কৌশিক চন্দ। তবে সরে দাঁড়ানোর আগে তিনি মামলাকারী মমতা ব্যানার্জিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করলেন।
সদ্যসমাপ্ত হওয়া বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে সবথেকে বেশি হইচই তৈরি করেছিল নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্র। কারণ এই বিধানসভা কেন্দ্রের সম্মুখসমরে হাজির হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া শুভেন্দু অধিকারী। ভোটের ফলাফল বের হতে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারী মমতা ব্যানার্জিকে হারিয়ে দিয়েছেন।
তবে শুভেন্দু অধিকারীর এই জয়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের তরফে অভিযোগ তোলা হয় প্রভাব খাটিয়ে ওই আসনে জয়লাভ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পরে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার বিচারপতি ছিলেন কৌশিক চন্দ। কিন্তু তৃণমূলের তরফে কৌশিক চন্দের এজলাসে এই মামলা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন দুটি ছবি প্রকাশ করেন। যেখানে দেখা যায় এই বিচারপতি কৌশিক চন্দ এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ একসাথে বসে রয়েছেন। ছবি পোস্ট করার পাশাপাশি দাবি করা হয় বিচারপতি আগেই বিজেপির সক্রিয় সদস্য ছিলেন। আর এই সকল দাবি-দাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই বিচার ব্যবস্থায় প্রশ্ন উঠবে বলে দাবি করা হয় তৃণমূলের তরফে।
বুধবার এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কৌশিক চন্দ নিজেই ঘোষণা করেন, তিনি এই মামলা থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। সরে দাঁড়ানোর কারণ হিসেবে তিনি জানান, মামলাকারীরা তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তুলেছেন সেই কারণে তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন না। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কারণেই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, যে কারোর কোন রাজনৈতিক পছন্দ থাকতে পারে না এটা এদেশে প্রায় অসম্ভব। কিন্তু বিচারপতির সিক্রেট রিপোর্ট জন সমক্ষে আনা টা কি ঠিক? একজন মুখ্যমন্ত্রী গোপনীয়তা বজায় রাখারও শপথ নেন।
মমতা ব্যানার্জিকে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করার পরিপ্রেক্ষিতে জানা গিয়েছে, বিচার ব্যবস্থাকে কলুষিত করার পরিপ্রেক্ষিতেই এই জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার এই টাকা রাজ্য বার কাউন্সিলে জমা করতে হবে। পরে ওই টাকা করোনা চিকিৎসায় ব্যবহার করা হবে।