কয়েক বছরের মধ্যেই জলের তলায় তলিয়ে যাবে কলকাতা (Kolkata) সহ আরো অনেক জায়গা। গবেষকদের মতে আর মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে ভারতের (India) অধিকাংশ উপকূলবর্তী শহরগুলি (Coastal Cities) সম্পূর্ণ জলের তলায় চলে যেতে পারে৷ কলকাতার সাথেই একাধিক উপকূলবর্তী এলাকার একই অবস্থা হতে পারে। সমুদ্রের জলস্তর বৃদ্ধির ফলে বিশ্বের উপকূলবর্তী একাধিক শহর জলের তলায় চলে যাবে (Sink under the Water)। সম্প্রতি গবেষণায় এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
অ্যামেরিকার নিউজার্সির বিজ্ঞান সংস্থা ‘ক্লাইমেট সেন্ট্রাল’ (Climet Central) -এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের অনেক উপকূলবর্তী এলাকা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যতটা উঁচুতে মনে হয়, বাস্তবে তা নয়। ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়লে উপকূলবর্তী শহরগুলি জলের তলায় যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেশি চিন, বাংলাদেশ, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়া সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ ৩০কোটি ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে ৭৫ শতাংশ হতে পারে এই ৬ টি দেশের। সে ক্ষেত্রে ভারতের অন্যান্য উপকূলের সাথে কলকাতার উপরও বিপদ ঘনিয়ে আসবে।
ওই গবেষণায় ছাড়াও ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাটমোস্টিক রিসার্চ (NCAR) ভিত্তিক কমিউনিটি আর্থ সিস্টেম মডেল (CESM) এর গবেষণায় বলা হয়েছে, ২১০০ সালের মধ্যে সারা বিশ্বের সমুদ্রের জলস্তর ২ থেকে ৭ ফুট বাড়তে পারে ৷ এমন কী, তার থেকে বেশি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ আর ২১০০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০ কোটি মানুষ বাসস্থান হারাতে পারে। গবেষণা সামনে আসার পর বিজ্ঞানীরা বলছেন, জলবায়ুর পরিবর্তন (Climet Change) নিয়ে বিশ্বের রাষ্ট্রনেতাদের আরও কঠোর পদক্ষেপ করতে হবে। জলবায়ুর পরিবর্তনকে বিপর্যয় হিসেবে দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।
গবেষকদের মতে, কলকাতার মাটির সহনশীলতা ক্রমশই কমে যাচ্ছে। এ শহরের মাটিতে বড়জোড় ১০-১২ তলা বিল্ডিং বানানো উচিত। বহুতল আবাসন তৈরি এবং মাটির নীচেও গভীর খননকার্জের জেরে মাটির বহনক্ষমতা প্রতিনিয়ত একটু একটু করে কমছে। মাটির তলা ফাঁপা হয়ে যাচ্ছে। ফলে সমুদ্রের জলের উচ্চতা বৃদ্ধি পেলে কলকাতার মাটির আর বহন করার ক্ষমতা থাকবে না। এমনটাই আশঙ্কা পরিবেশবিদদের। ফলে কলকাতায় বিশেষভাবে ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে।
স্যাটেলাইটের মাধ্যমে সমুদ্রে জলস্তরের ওঠানামা ও স্থলভূমির তার প্রভাব পর্যবেক্ষণ করে ওই বিজ্ঞান সংস্থা৷ আর পর্যবেক্ষণ করতে গিয়েই এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজ্ঞানীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, ২০৫০ সালের মধ্যে সমুদ্রের জলস্তর উপকূল ছাপিয়ে উপরে উঠে আসবে৷ গ্রিন হাউস গ্যাসের (Green House Gas) প্রভাবে বিশ্ব উষ্ণায়ন (Global warming) বাড়ছে। তাকে আটকাতে না পারলে এই বিপদ এড়ানো কঠিন বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।