করোনাভাইরাস কি মুরগির মাধ্যমে ছড়াতে পারে, মাংস খাওয়া কতটা নিরাপদ

নিজস্ব প্রতিবেদন : পুরো বিশ্বে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়তে থাকা কোরোনা ভাইরাস সম্প্রতি থাবা বসিয়েছে ভারতেও। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে এই ভাইরাস নিয়ে নানান রকমের গুজব ছড়ানো হচ্ছে। তাই এই বিষয়টা খুব প্রয়োজনীয় যে আপনি যা জানছেন তা যেন কোনো বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যমের কাছ থেকেই জানেন। যদিও ভারত সরকার এই ভাইরাস মোকাবিলা করার জন্য কি কি বিষয় লক্ষ্য রাখা দরকার সেই বিষয়গুলি অনেকবার জানিয়েছে। কিন্তু তার সাথে সাথে আপনাকে আপনার খাবার দাবারের বিষয়ও যথেষ্ট সচেতন হতে হবে।

বিগত কিছু দিনের মধ্যে ভারতের বাজারে নানারকম গুজবের ফলে মুরগি, নানান রকম মাছ ও অন্যান্য অনেক প্রাণীজ খাদ্যের বিক্রি ব্যাপক হারে হ্রাস পেয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে COVID-19 খাদ্য বস্তুর মধ্যে দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে না। কেন্দ্রীয় সরকারের পশুপালন ও মৎস্য বিভাগ এই বিষয়টি আরও স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে দুধ, মাংস, ডিম বা মাছের মাধ্যমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয় না।

মানুষের এই গুজবকে নস্যাৎ করে কেন্দ্রীয় পশুপালন ও মৎস্য মন্ত্রী গিরিরাজ সিং বললেন, কিছু মানুষ এই বিষয় সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞানের অভাবে নিজেও আতঙ্ক ছড়াচ্ছেন। দুগ্ধ ও গবাদি পশু বিভাগ ও পশুপালন বিভাগ থেকেই এই বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে COVID-19 মাংস, ডিম বা মাছের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে না।

বিশেষজ্ঞদের মতে কোরোনা ভাইরাসের একটি পোষক দরকার, সেটি কোনো প্রাণী বা মানুষ হতে পারে, তার মধ্যেই তারা বেড়ে ওঠে। কোনো খাদ্য বস্তুর মধ্যে কখনোই এই ভাইরাস থাকতে পারেনা। মাংস যখন অন্যান্য পরিষ্কার শাক সবজির সাথে রান্না করা হবে তখন এটি এমনিতেই ভাইরাসমুক্ত হবে যাবে। কারণ এই ভাইরাস ৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় মারা যায়।

তবে উল্যেখযোগ্য বিষয় হলো যে, দুই মাস ধরে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার পর চীনের বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এই রোগ প্রতিরোধ করার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। ইতিবাচক মামলার সংখ্যা ৩০ টি ছোঁয়া যাওয়ার সাথে সাথে উহানের রোগীদের চিকিৎসা করা শীর্ষস্থানীয় চীনা চিকিৎসক তাদের ভারতীয় প্রতিপক্ষকে একটি পরিকল্পনা প্রস্তুত করার, মেডিকেল কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার এবং জনসাধারণকে শিক্ষিত করার পরামর্শ দিয়েছেন।

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ইতিমধ্যে সকল বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের কোনো বড় সমাবেশ, যেখানে অনেক মানুষ উপস্থিত থাকবে, এমন স্থান এড়াতে বলার জন্য পরামর্শ দিয়েছে।শিক্ষার্থীদের জন্য যাতে সব সময় রেস্টরুমে সাবান ও জলের পরিমাণ যথেষ্ট থাকে, সেই বিষয় নজর দিতেও বলা হয়েছে। পরামর্শে আরও বলা হয়েছে দরজার কড়া, সুইচ, ডেস্কটপগুলি, হ্যান্ড রেলিংয়ের এমন জিনিস যেগুলি খুব বেশী মানুষ স্পর্শ করে সেগুলি যাতে জীবাণু মুক্ত থাকে সেই বিষয়ে যেন নজর দেওয়া হয়।