নিজস্ব প্রতিবেদন : রোড ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রকের তরফ থেকে সম্প্রতি একটি নয়া নিয়ম জারি করা হয়েছে। এই নতুন নিয়ম অনুযায়ী কেউ গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার পর ট্রাফিক নিয়ম ভাঙলে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে নোটিশ পাঠাতে হবে। এই নোটিশ পাঠাবে স্টেট এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি। এর পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তির জরিমানা না হওয়া পর্যন্ত তার বিধি ভঙ্গের সমস্ত নথি সুরক্ষিত রাখতে হবে এই এজেন্সিকে।
সম্প্রতি রোড, ট্রান্সপোর্ট এবং হাইওয়ে মন্ত্রক সংশোধিত মোটর ভেইক্যাল অ্যাক্ট ১৯৮৯ অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এই এজেন্সিকে সমস্ত রকম নথি সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি ইলেকট্রনিক রেকর্ড আলাদা ভাবে রাখতে হবে। ইলেকট্রনিক মনিটরিং এবং রোড সেফটির উপর বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সমস্ত রকম জরিমানা নেওয়ার কাজ এবার ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের মাধ্যমে করতে হবে।
নতুন এই নিয়ম অনুসারে ট্রাফিক ব্যবস্থার নজরদারি চালানোর জন্য ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করতে হবে। প্রতিটি রাজ্যকে এই বিষয়ে নিশ্চিত করতে হবে কেন্দ্রকে। পাশাপাশি যদি অন্য কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে তাহলে সেই বিষয়েও কেন্দ্রকে জানাতে হবে রাজ্য অথবা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।
যে সকল ডিভাইস অথবা প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে তার মধ্যে থাকতে হবে স্পিড ক্যামেরা, স্পিড গান, বডি পরিধিত ক্যামেরা, ড্যাশবোর্ড ক্যামেরা, অটোমেটিক নম্বর প্লেট চিহ্নিত করতে পারবে এমন ডিভাইস ইত্যাদি। তবে এই সকল প্রযুক্তির ডিভাইস কোথায় লাগানো হবে তা ঠিক করবে রাজ্য সরকার। রাজ্য এবং জাতীয় সড়কের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে এই সকল প্রযুক্তির ডিভাইস লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রকের তরফ থেকে জারি করা নির্দেশিকায় জানা যাচ্ছে, এই সমস্ত অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে লোকেশন ফুটেজ, ডেট এবং সময় সব উঠে যাবে। ট্রাফিক আইন না মানা হলে তা এই ডিভাইস স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করবে গাড়ি এবং গাড়ির মালিক ও চালককে। এক্ষেত্রে যদি চালক নির্দিষ্ট গতির থেকে বেশি গতিতে গাড়ি চালান তাহলে তা শনাক্ত হবে। যদি হেলমেট পরিহিত না অবস্থায় কোন মোটরবাইক বেরিয়ে যান সেক্ষেত্রেও শনাক্ত হবে, সনাক্ত হবে পার্কিং নিয়ম না মেনে পার্কিং করা ইত্যাদি অন্যান্য ট্রাফিক আইন ভাঙার ক্ষেত্রেও। এই সকল বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে মোটা অঙ্কের জরিমানা ধার্য করা হবে।