নিজস্ব প্রতিবেদন : বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এখন সিবিআইয়ের জালে বিদ্ধ। একের পর এক দুর্নীতি কাণ্ডে তার নাম জড়িয়ে যাচ্ছে। গরু পাচার, কয়লা পাচার, এরপর আবার ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় নাম জড়ানো। এইসকল একাধিক কারণে বারংবার সিবিআই তলব পেয়েছেন তিনি।
এই সকল সিবিআই তলবের মাঝেই গত ৬ এপ্রিল বীরভূমের এই দাপুটে তৃণমূল নেতা সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে যাওয়ার সময়ই অসুস্থতা বোধ করেন এবং এসএসকেএম হাসপাতালের উডর্বান ওয়ার্ডে তাকে ভর্তি করা হয়। তারপর দীর্ঘ ১৭ দিন কেটে যায় হাসপাতালে। শুক্রবার রাতে পৌনে আটটা নাগাদ হাসপাতাল থেকে ছুটি পান তিনি।
হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে আপাতত তিনি কলকাতায় চিনার পার্কের ফ্ল্যাটে ওঠেন। তবে নিজের ফ্ল্যাটে ফিরতে না ফিরতে ফের তলব শুরু করে সিবিআই। শুক্রবার বাড়ি ফেরার পর শনিবার দুপুরে তাকে গরু পাচার কাণ্ডে তলব করে বৈকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে নিজাম প্যালেসে উপস্থিত হতে বলা হয়। তবে সেই তলব অন্যান্যবারের মতোই তাকে এড়াতে লক্ষ্য করা যায়।
এই তলব জারি হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে ফের আরও একটি তলব করা হয় তাকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এবার তাকে তলব করা হয় ভোট-পরবর্তী হিংসার মামলায়। সেই মামলায় রবিবার সকাল ১১ টার মধ্যে তাকে নিজাম প্যালেসে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। কিন্তু এই তলবেও তিনি কলকাতার সিবিআই দপ্তরে যাচ্ছেন না।
বৈকাল বেলায় সিবিআই দপ্তর হাজির হওয়ার সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল সেই সময়সীমা আসার ঠিক মিনিট চারেক আগে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআইকে একটি ইমেল করেন। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, সেই ইমেলে কিছু নথি পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা সংক্রান্ত সেই সকল নথিপত্র পাঠানোর পাশাপাশি অনুব্রত মণ্ডল লিখেছেন, ‘শরীর এখনও অসুস্থ। হাঁটাচলা করতে পারছি না।’
পাশাপাশি সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে চিকিৎসকদের পরামর্শ। যেখানে চার সপ্তাহ বিশ্রাম নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডল সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার জন্য ৪ সপ্তাহ সময় চেয়ে নিয়েছেন। এই নিয়ে অনুব্রত মণ্ডল ষষ্ঠ বার সিবিআইয়ের এড়ালেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, আপাতত আগামী ৪ সপ্তাহ তিনি চিনার পার্ক ফ্লাটেই রয়েছেন। সেখানে এসে যদি সিবিআই অফিসাররা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তাহলে তিনি সহযোগিতা করবেন।