VIP Darshan at Temple: মন্দিরে ভিআইপি প্রবেশ নিয়ে অনেক সময় বিভিন্ন অভিযোগ শোনা যায়। ভারতের প্রায় প্রতিটি মন্দিরেই ভিআইপি কালচার রয়েছে। ভিআইপি দর্শনের মাধ্যমে মন্দির কর্তৃপক্ষ অনেক সময় ভক্তদের থেকে মোটা টাকা আদায় করে থাকে। কখনো কখনো সেটা আবার মাত্রাতিরিক্ত হয়ে যায়। সাধারণ মানুষকেও এর জন্য দুর্ভোগের শিকার হতে হয়। শুধুমাত্র সমাজের কিছু প্রভাবশালী মানুষ সুবিধা পেয়ে থাকে। তাই এর প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে একদল মানুষ।
ভিআইপি কালচার চালু হওয়ার ফলে মানুষের প্রাণ সংশয় পর্যন্ত ঘটছে। আজকাল মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর খবর প্রায়ই শোনা যায়। সম্প্রতি তিরুপতি মন্দিরের পদপিষ্টের ঘটনা নজর কেড়েছে সকলের। তিরুপতি ছাড়াও অন্যান্য বিভিন্ন মন্দিরের খবরও কানে আসছে আজকাল। এসবের জন্য ভিআইপি কালচারকে দায়ী করছে একদল মানুষ। এবার থেকে মন্দিরে যাতে ভিআইপি দর্শন (VIP Darshan at Temple) বন্ধ করা হয়, তা নিয়েই একটি রিট পিটিশন দাখিল করা হয়েছিল আদালতে।
বুধবার এই ভিআইপি দর্শনের (VIP Darshan at Temple) মামলা খারিজ করেছে শীর্ষ আদালত। মামলাটি রুজু করা হয়েছিল প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে। বিচারপতি জানিয়েছেন, ৩২ নম্বর ধারা অনুযায়ী, এই মামলা শোনা যথাযথ নয়। যদিও মামলা খারিজ করে দেওয়া মানেই ভিআইপি কালচারকে প্রশ্রয় দেওয়া নয়। মন্দিরে ঢোকার ক্ষেত্রে কাউকে বিশেষ সুবিধা দেওয়ার পক্ষপাতী নন আদালত।
আরও পড়ুন: অর্থের বিলাসিতা ছেড়ে মহাকুম্ভে সুন্দরী বিমান সেবিকা, কারণ কি? ভাইরাল হওয়া নাকি আধ্যাত্মিক টান
দিন কয়েক আগেই মহাকুম্ভ মেলা শেষ হল। সেখানে পদপিষ্ট হয়ে প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর পিছনে ভিআইপি কালচারকেই দায়ী করছেন একাংশ। সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ঘটনায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত এর সংখ্যা এক্ষেত্রে ৬০। এই ঘটনা ঘটার পরেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। আর যাতে এরকম অন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে, তার জন্য কুম্ভ মেলার সমস্ত ভিআইপি পাস বাতিল করেছে উত্তর প্রদেশ সরকার।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজয় কিশোর গোস্বামী নামে এক ব্যক্তি এই মামলা রুজু করেন। মামলাকারীর আইনজীবী অনুরোধ জানান, এবার থেকে মন্দির দর্শনের (VIP Darshan at Temple) ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) চালু করা হয় তা যেন দেখে রাজ্য সরকার। বিচারপতি জানান, এক্ষেত্রে প্রধান বিষয়টি হল আইন-শৃঙ্খলা। যদি আইন-শৃঙ্খলা ঠিকভাবে মানা হয় তাহলে এই ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে আর ঘটবে না। তাই এবিষয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া উচিত।