নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর লকডাউন জারি হওয়ার পাশাপাশি বন্ধ হয়ে যায় রেল পরিষেবা। পরবর্তীতে শর্তসাপেক্ষে দূরপাল্লার ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় রেল। তবে দূরপাল্লার ট্রেন চললেও বিভিন্ন অনিয়মের ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয় রেলের তরফ থেকে।
বর্তমানে সংক্রমণ কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ক্ষেত্রে স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি স্বাভাবিক হয়েছে রেল পরিষেবা। তবে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এমনটা বলা যাবে না। কিন্তু ভারতীয় রেলের তরফ থেকে এই রেল পরিষেবাকে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে সব সময়।
করোনাকালে অথবা পরবর্তী সময়ে ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক হলেও অধিকাংশ ট্রেনে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বেশ কিছু ট্রেনে খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা চালু থাকলেও যাত্রীদের মধ্যে সেই খাবারের গুণগত মান নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। এই সকল ক্ষেত্রেই আবার এই একাধিক নিয়মের পরিবর্তন আনছে ভারতীয় রেল।
ট্রেনে খাবার সরবরাহকারী ভারতীয় রেলওয়ে ক্যাটারিং অ্যান্ড ট্যুরিজম কর্পোরেশন-এর বক্তব্য অনুযায়ী, এপ্রিল মাস থেকে খাবার প্রদান সংক্রান্ত পরিষেবা উন্নত করা হবে। বর্তমানে ৪২৮টি ট্রেনে খাবার সরবরাহ করা হয়ে থাকে। কিছু ট্রেনে চালু করা হয়েছে প্যান্ট্রি কার। একইভাবে আগামী এপ্রিল মাস থেকে পাঁচশোর বেশি ট্রেনে খাবার সরবরাহ করা হবে।
খাবার সংক্রান্ত এই যে তিনটি পরিবর্তন আনা হচ্ছে সেই তিনটি পরিবর্তন হলো
রেলওয়ের সমস্ত বেস কিচেনে ফুড সেফটি সুপারভাইজার মোতায়েন করা হবে। এই সকল সুপারভাইজাররা নিয়মিত খাবারের গুণগত মান যাচাই করবেন এবং তার দিকে নজর রাখবেন। যাতে করে খাবার নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে কোনরকম অসন্তোষ তৈরি না হয়।
ট্রেনের যাত্রীদের সরবরাহ করা খাবার নিয়ে তাদের মধ্যে কিরকম সন্তুষ্টি রয়েছে অথবা পরামর্শ রয়েছে তা নিয়ে সার্ভে করা হবে। আগেও এই সার্ভে করার ব্যবস্থা থাকলেও কোনো নির্দিষ্ট সময় ছিল না। এবার নির্ধারিত সময়ে তা করা হবে।
খাবার দাবারের নিয়মিত স্যাম্পেলিং করা হবে। আগেও খাবারের স্যাম্পেলিং হত, তবে তা চালু হয় যাত্রীদের অভিযোগের পর। কিন্তু এবার থেকে বেস কিচেন আর ট্রেনে নিয়মিত খাবারের স্যাম্পেলিং করা হবে।