নিজস্ব প্রতিবেদন : বাংলা থেকে আরও এক পাট চুকল অনুব্রতর (Anubrata Mondal)। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ফের অনুব্রতর মাথায় কালো মেঘের ছায়া। কি করে এবার রক্ষে পাবেন তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। কেননা একাধিকবার অনুব্রত মণ্ডল আদালতে আকুতি মিনতি জানিয়েও কোনো কাজ হয়নি। একাধিকবার আদালতে জামিনের আবেদন করেও বারবার হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। আর সেই হতাশার মাঝেই এবার বাংলা থেকে সরে গেল তার গরু পাচার মামলা।
বাংলা থেকে গরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছিল। সেই মামলায় পরপর দুবার ইডির আইনজীবীকে ধাক্কা খেতে হয়। তবে পরপর দুবার ধাক্কা খেয়েও শেষমেশ ঘুরে দাঁড়ালো ইডি। কেননা বুধবার আদালতের তরফ থেকে অনুব্রতর গরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সম্মতি দিয়ে দেওয়া হলো।
অনুব্রত মণ্ডলের গরু পাচার মামলা আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালতেই শুনানি হবে নাকি তা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ কোর্টে? এই নিয়ে বুধবার আসানসোলের সিবিআই বিশেষ আদালতে ছিল তৃতীয় শুনানি। সেই শুনানিতেই দুপক্ষের সাওয়াল জবাব শেষে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মতি দিয়ে দেন। বিচারকের এমন সম্মতির পরিপ্রেক্ষিতে অনুব্রত মণ্ডলের বিপদ আরও বাড়লো বলেই মনে করা হচ্ছে।
অনুব্রতর গরু পাচার মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কিনা তা নিয়ে প্রথম মামলা করা হয়েছিল ২৮ জুলাই আসানসোল সিবিআই বিশেষ আদালতে। এরপর ১৯ আগস্ট এর প্রথম শুনানি হয় আর সেই শুনানিতে রীতিমতো ভর্ৎসনা শুনতে হয় ইডির আইনজীবীকে। পরে এই মামলার দ্বিতীয় শুনানি হয় গত শনিবার। সেদিনও ইডির আইনজীবী বিচারককে কারণ বোঝাতে সক্ষম হননি। পরে এই মামলার শুনানি হয় বুধবার।
এদিন শুনানি শুরু হতেই ইডির আইনজীবী অভিজিৎ ভদ্র ৪৪ (১/সি) ধারার স্বপক্ষে নোটিফিকেশন দেখান বিচারককে। ২০০৫ সালের ১ জুলাই কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় একটি নোটিফিকেশন জারি করেছিল। যে নোটিফিকেশনে বলা হয়েছিল ৪৪ (১/সি) ধারায় ইডি আর্থিক দুর্নীতি মামলায় মামলা স্থানান্তরের আবেদন করতেই পারেন। এই নোটিফিকেশন দেখার পর বিচারক সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং মামলা দিল্লি সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্মতি দেন।