নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর রাখী পূর্ণিমার দিন গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে। তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর এখন সভাপতিহীন বীরভূমে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে চরম দুশ্চিন্তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে তারা মুখে রয়েছেন কবে তাদের ঘরের নেতা জেল থেকে মুক্তি পাবেন।
দীর্ঘ দিন জেলে কাটানোর পর শুক্রবার তাকে আসানসোল আদালতে তোলা হলেও জামিন মিলল না তার। অনুব্রত মণ্ডলকে এদিন বিচারক পুনরায় ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠান। গত আগস্ট মাসে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বারবার জামিনের আবেদন করা হলেও দাপুটে এই তৃণমূল নেতা এখনো জামিন পাননি। বলাই বাহুল্য বারবার আইনজীবীদের জামিনের আবেদন কোন কাজে আসেননি।
অন্যদিকে শুক্রবার অনুব্রত মণ্ডলকে আদালতে তোলা হলে অনুব্রতর আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করেননি। জামিনের আবেদনের পরিবর্তে ভোলেব্যোম রাইস মিলের যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ বা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, তা চালু করার এবং অনুব্রত মণ্ডলের যে দুটি মোবাইল সিজ করা হয়েছে সেই মধ্যে দুটি মোবাইল ফেরত দেওয়ার আবেদন করা হয়।
এই আবেদনের পাল্টা হিসেবে সিবিআইয়ের আইনজীবীরা জানান, সিজ করা দুটি মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষা হয়ে গেলেও তদন্তের খাতিরে এখন সিবিআই হেফাজতে রয়েছে। মোবাইল ফেরত দেওয়ার এই আবেদন প্রসঙ্গে বিচারক পরের শুনানিতে তা শোনা হবে বলে জানান। তবে এরই মধ্যে ফাইল ঘেঁটে রীতিমত অবাক হয়ে যান বিচারক।
এদিন সিবিআই যে ফাইলটি আদালতে পেশ করেন সেই ফাইলটি উল্টে পাল্টে দেখার সময় বিচারকের চোখ কপালে উঠতে দেখা যায় এবং তাকে চশমা পরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার অর্থাৎ আইওকে ডেকে বলেন, “আমার ২০ বছরের সার্ভিস লাইফে আমি এমন দেখিনি, শোনা তো দূরের কথা”। এরপরই প্রশ্ন উঠছে সিবিআই কি এমন তথ্য পেশ করল যাতে এইভাবে অবাক হতে দেখা গেল বিচারককে। যদিও ঠিক কি তথ্য তিনি পেশ করেছেন তা এখনো স্পষ্ট নয়।