নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার তছরুপ হয়েছে অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) এবং তার সঙ্গী সাথীদের হাত দিয়ে। এমন অভিযোগ বারবার আদালতে পেশ করতে দেখা যাচ্ছে সিবিআই এবং ইডি আধিকারিকদের তরফ থেকে। তবে এই সকল যকের ধন অভিযুক্তরা বারবার শাক দিয়ে মাছ ঢেকে রাখার মত চেষ্টা চালালেও সেই দিন শেষ। কেননা আবারও অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গাল হোসেনের (Saigal Hossain) বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিস পেল সিবিআই।
এবার সায়গাল হোসেন ছাড়াও অনুব্রত মণ্ডলের নামে বি নামে আরও কিছু সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের দুজনের নামে বেনামে কোটি কোটি টাকার জমির হদিস পাওয়া গিয়েছে। এই সকল জমি নগদ টাকায় কেনা হয়েছিল বলে দাবি করা হচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের তরফ থেকে।
শুক্রবার আসানসোল আদালতে সিবিআই যে তথ্য পেশ করেছে তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৫ একর জমির রেজিস্ট্রির ক্ষেত্রে কোন রকম মেমো অথবা কনফিগারেশন নোট নেই। এমন অবস্থায় আদালতের বিচারক জমি রেজিস্টারের ভূমিকায় উষ্মাপ্রকাশ করেছেন এবং ওই রেজিস্টারকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলেও মতামত প্রকাশ করেছেন।
সায়গাল হোসেনের নতুন যে সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গিয়েছে তার মধ্যে সাড়ে তিন কোটি টাকায় জমি রয়েছে বলে দাবি করেছে সিবিআই। এই সম্পত্তি রয়েছে স্ত্রী সোমাইয়া এবং মা লতিফা খাতুনের নামে। এছাড়াও নতুন যে সকল সম্পত্তির হদিস এবং বাজেয়াপ্ত করার তালিকা দেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে রয়েছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমির দলিল, পেট্রল পাম্প।
সিবিআই এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে বিপুল এই সম্পত্তির একটি অংশ বিনিয়োগ করা রয়েছে বীরভূমের একটি পেট্রোল পাম্পে। এটি চতুর্থ পেট্রোল পাম্প যা সিবিআই আধিকারিকরা হদিশ পেয়েছেন। এছাড়াও সায়গাল হোসেনের শ্যালকের নামে একটি নির্মাণকারী সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। সেখানেও টাকা বিনিয়োগ করার পাশাপাশি আরও একটি সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম প্রাইভেট লিমিটেডের উল্লেখ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।