রামপুরহাটের বগটুই কাণ্ডে তদন্তে CBI, পৌঁছালো কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার বীরভূম জ্বলে ওঠে নৃশংস হত্যাকাণ্ডে। প্রথমে বোমার আঘাতে খুন হন বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ। ঠিক তার পরেই বগটুই গ্রামে শুরু হয় বোমাবাজি, জ্বলতে শুরু করে একের পর এক বাড়িঘর। যে ঘটনায় সরকারিভাবে এখনো পর্যন্ত আট জন মারা গিয়েছেন।

ঘটনার নৃশংতা এতটাই ছিল যে এই ঘটনা মঙ্গলবার থেকেই দেশের তাবড় তাবড় সংবাদপত্রের শিরোনাম হতে শুরু করে। প্রথম থেকেই এই ঘটনা নিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলতে দেখা যাচ্ছিল বিরোধী পক্ষদের। অন্যদিকে রাজ্য সরকার তড়িঘড়ি সিট গঠন করে তদন্ত শুরু করে। আর এবার এই ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল।

কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেওয়া হয় তদন্তের স্বার্থে সিট আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করবে না। এখনো পর্যন্ত যারা এই ঘটনায় ধৃত হয়েছেন তাদের সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিতে হবে। প্রয়োজন পড়লে সন্দেহভাজনদেরও নিজেদের হেফাজতে নিতে পারবে সিবিআই। আগামী ৭ এপ্রিলের মধ্যে প্রাথমিক তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে হাইকোর্টে।

অন্যদিকে হাইকোর্টের এই নির্দেশের মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় সিবিআইয়ের ফরেনসিক দল। কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবোরেটরির ৯ জন সদস্য ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন এবং তাদের সঙ্গে রয়েছেন বর্ধমান আদালতের বিচারক শোভন মুখোপাধ্যায়। তারা ইতিমধ্যেই দগ্ধ হয়ে যাওয়া বাড়িগুলি থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন।

ঘটনার পর থেকে যেদিকে পরিস্থিতি এগোচ্ছিল তাতে প্রথম থেকেই মনে করা হচ্ছিল এই ঘটনায় তদন্ত করার ভার পাবে সিবিআই। এর পাশাপাশি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পর জানিয়েছিলেন খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দল আসবে। অবশেষে সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত ভার পেল। অন্যদিকে এই ঘটনার তদন্ত ভার সিবিআইকে দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিরোধীরা আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ মেনে নিয়েছে শাসকদল তৃণমূল। তবে সঠিক তদন্ত না হলে প্রতিবাদ হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কুনাল ঘোষ।