নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কান্ড সহ ভোট পরবর্তী হিংসা ইত্যাদিতে নাম জড়িয়ে যায় বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের। এই সকল মামলায় নাম জড়িয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বারবার সিবিআইয়ের তলব পান তিনি। যদিও বর্তমানে তিনি অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে রয়েছেন। অন্যদিকে এই গরু পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হন তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেন। আয় বহির্ভূত সম্পত্তির পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানা যাচ্ছে।
প্রথমদিকে গ্রেপ্তার হওয়ার আগে অথবা পরে সায়গাল হোসেনের সম্পত্তি নিয়ে মনে করা হচ্ছিল ৫-৬ কোটি টাকার সম্পত্তি থাকতে পারে তার। একজন সাধারণ কনস্টেবল হিসাবে এই সম্পত্তিই অনেক। তবে সিবিআই যা জানাচ্ছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সম্পত্তি ১০০ কোটি। কিভাবে এত সম্পত্তি এলো সায়গলের কাছে তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে আরও সাত দিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়েছে তার।
সায়গাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হলে প্রথম দফায় তাকে সাতদিনের সিবিআই হেফাজত দেওয়া হয়। পরে সেই সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে পুনরায় শুক্রবার তাকে আদালতে তোলা হয়। সিবিআইয়ের আইনজীবী রাকেশ কুমার জানান, গরু পাচার কান্ডে বিভিন্ন তথ্য রয়েছে সায়গল হোসেনের কাছে। এর জন্যই তাকে বারবার ডেকে পাঠানো হয় এবং উত্তরে অসঙ্গতি মেলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এখন প্রশ্ন হলো সায়গল হোসেনের এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অংশ হিসেবে কি কি রয়েছে? এই সম্পর্কে যা জানা যাচ্ছে তাতে মুর্শিদাবাদে পাঁচ থেকে ছয় কোটি টাকা বা তার বেশি বাড়ি, জমিজমা মিলিয়ে সম্পত্তি থাকার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তার এবং ঘনিষ্ঠদের নামে রয়েছে দামি দামি ফ্ল্যাট, গাড়ি, ক্র্যাশার মেশিন, ডাম্পার ইত্যাদি।
সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সায়গল ও ঘনিষ্ঠজনদের নামে নিউটাউন, রাজাহাট, লেকটাউন, বোলপুর এলাকায় ৬টির বেশি ফ্ল্যাট রয়েছে। ৫০টির মতো জমির ডিড, ডেউচা পাঁচামিতে একাধিক ক্র্যাশার মেশিন ও ডাম্পার, নগদ ২ কোটি টাকা মিলিয়ে মোট ১০০ কোটির মতো সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। তবে সিজার লিস্টে এসব দেওয়া হয় নি বিচারককে। কেবলমাত্র দস্তাবেজ হিসাবে পেশ করা হয়।