রাজ্য পুলিশ না সিবিআই, কার ওপর ভরসা রামপুরহাটের বগটুইয়ে নিহতদের পরিবারের

Shyamali Das

Updated on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : গত সোমবার রাতে রামপুরহাট থানার অন্তর্গত বরশাল গ্রামের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হওয়ার পরেই জ্বলতে শুরু করে বগটুই গ্রাম। এই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় আটটি দেহ। ঘটনার পর থেকেই নিহতদের পরিবারের জীবিত সদস্যরা রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা হারিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি করছিলেন। তবে এখন যখন এই ঘটনায় তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে গিয়েছে সেই সময় তারা কি বলছেন?

সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার আগে বগটুই গ্রামে এসে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার এই সাক্ষাতের পাশাপাশি নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয় চাকরির প্রতিশ্রুতি এবং ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আর্থিক ক্ষতিপূরণের প্রতিশ্রুতি। এরপরেই শুক্রবার এই ঘটনার তদন্ত ভার হাইকোর্টের নির্দেশে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।

সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার যাওয়ার পর নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখ জানিয়েছেন, “সিবিআই হোক অথবা মুখ্যমন্ত্রী, অন্য কোনো রাজনৈতিক দল হোক অথবা কঠোর আইন ব্যবস্থা, আমি প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি যেন পান দোষীরা। আমি বলেছিলাম যিনি প্রথম আমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবেন আমি তার সঙ্গে আছি। প্রথম স্টেজে যিনি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তিনি হলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

এর পাশাপাশি তিনি জানান, “আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যে সকল বিষয়গুলি তুলে ধরেছেন তিনি সবগুলি গ্রহণ করেছেন। আনারুলকে অ্যারেস্ট করা হয়েছে, রামপুরহাট থানার আইসিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, এসডিপিওকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উনি যা করে দেখিয়েছেন তাতে উনি আমাদের আস্থা দিয়েছেন। মমতা ব্যানার্জির উপর আমাদের পূর্ণ ভরসা আছে।”

এখন প্রশ্ন হল এই তদন্ত তো আর রাজ্য পুলিশ অথবা সিট করবে না। কারণ আদালতের নির্দেশে তদন্ত সম্পূর্ণভাবে চলে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। সেক্ষেত্রে কি এই মিহিলাল শেখ এবং তার পরিবারের সদস্যরা সিবিআইকে সহযোগিতা করবেন? এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি জানিয়েছেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই এই মামলার তদন্তভার নিয়েছে। আমরা সিবিআইকে পূর্ণ সহযোগিতা করব।”