নিজস্ব প্রতিবেদন : স্বেচ্ছাসেবী একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে নানান অভিযোগ ওঠে। এই সকল আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রাশ টানতে কেন্দ্র গত বছর ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদান বন্ধ করে দিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও বহু ক্ষেত্রেই রাশ টানা যাচ্ছে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফের কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
মঙ্গলবার এই নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই ৪০টি জায়গায় তল্লাশি চালায়। এই তল্লাশি চালানোর পরিপ্রেক্ষিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। যেখানে দেখা যায় একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি অনুদানের ক্ষেত্রে সাহায্য করছেন সরকারি আধিকারিকরাই। বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে এইভাবে টাকা পাইয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে ঘুষের বিনিময়ে।
গত মঙ্গলবার এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সিবিআই। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো এই ১০ জনের মধ্যে আবার ৫ জন রয়েছেন সরকারি আধিকারিক। অভিযোগ এই সরকারি আধিকারিকরাই ঘুষের বিনিময়ে এনজিও সংস্থাগুলিকে বিদেশি অনুদান পেতে সাহায্য করেছেন। এই আধিকারিকরা আবার অমিত শাহ মন্ত্রকের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বিদেশি অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এমন দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া টাকার অঙ্ক ২ কোটি টাকা। সম্পূর্ণটাই বেআইনিভাবে বিনিয়োগ হয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে রাজস্থান, দিল্লি, চেন্নাই, মাইশোরের মতো জায়গায় লেনদেন হয়েছে এই বিপুল অঙ্কের টাকা।
এমন ঘটনা সামনে আসতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এমনকি এই বিপুল অঙ্কের টাকা অনৈতিকভাবে লেনদেনের পরিপ্রেক্ষিতে এনজিও সংস্থাগুলির প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা হারাবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। গতবছর কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে দেশের যে ১২ হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, তার পরেও এমন নানান অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিদেশি লেনদেন বন্ধ করে দেওয়া হয়।