প্রসূন দাস : ভোট পরবর্তী ঘটনার তদন্তে এবার প্রথম কোনো তৃণমূল কার্যালয়ে হানা দিলো সিবিআই। তাও আবার অনুব্রত গড়ে। তবে এই ঘটনাকে তৃণমূলের তরফ থেকে রাজনৈতিক অভিসন্ধি বলেই আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।
এদিন ইলামবাজারের তৃণমূল কার্যালয়ে হঠাৎ করেই হাজির হয় সিবিআই আধিকারিকরা৷ জানা গিয়েছে, কার্যালয়ে গিয়ে ইলামবাজারের তৃণমূল নেতা বাবর আলিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাঁকে একটি নোটিশ ধরায় সিবিআই।
প্রসঙ্গত, গতকাল ইলামবাজারের গোপালনগরে ভোট পরবর্তী হিংসায় গৌরব সরকার খুনের ঘটনায় ভনা মির্ধাকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তাকে বোলপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৪ দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয় বিচারক। এরপরেই ইলামবাজারে তৃণমূল কার্যালয়ে হানা দেয় সিবিআই বলে জানা গিয়েছে।
যদিও তৃণমূল ব্লক সভাপতি ফজরুল রহমানের অভিযোগ করেছেন, “পার্টি অফিসে সিবিআই এসেছিল। নোটিশ দিয়েছে। এটা যে রাজনৈতিক চক্রান্ত সেটা সবাই বুঝতে পারছে।” তৃণমূল নেতা বাবর আলি জানিয়েছেন, “সিবিআই ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচন এবং ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে গোপালনগর গ্রামে বুথ কমিটির সদস্যদের নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর সহ ওই গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধানের নাম ও বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়ে নোটিস দেওয়া হয়েছে।”
অন্যদিকে, গত ১৪ মে বীরভূমের নলহাটিতে মনোজ জয়শোয়াল নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। হাইকোর্টের নির্দেশে সেই খুনেরও তদন্ত করছে সিবিআই। এই ঘটনায় নলহাটি থানার পুলিশ দু’জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে আগেই। সেই দুই অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে।
তাদের জেরা করার জন্য অনুমতি পেতে মঙ্গলবার রামপুরহাট মহকুমা আদালতে আবেদন করে সিবিআই। তবে পদ্ধতিগত ত্রুটি থাকায় সেই আবেদন মঞ্জুর করেন নি রামপুরহাট মহকুমা আদালতের বিচারক। আগামিকাল পুনরায় আবেদনের শুনানি হবে।