করোনা রোগীর হোম আইসোলেশন সম্পর্কিত নয়া নির্দেশিকা জারি করলো কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বের পাশাপাশি ভারতেও প্রতিদিন বেড়েই চলেছে করোনা মহামারী। আর এই মহামারীকে আটকাতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বারংবার নানান পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশের নাগরিকদের জন্য জারি করা হচ্ছে নতুন নতুন নির্দেশিকা। ঠিক তেমনই করোনা রোগী সংক্রান্ত হোম আইসোলেশন নিয়ে নতুন করে একটি নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রক। নতুন নির্দেশিকা সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রকে তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে।

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জারি করা এই নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে

১) কোন রোগী কতটা আক্রান্ত তা ঠিক করবেন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মেডিকেল অফিসার। অর্থাৎ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ওই মেডিকেল অফিসার জানাবেন যে আক্রান্ত ব্যক্তি মৃদু উপসর্গ যুক্ত কিনা।

২) যেসকল করোনা আক্রান্ত রোগীর বাড়িতে হোম আইসোলেশনের পর্যাপ্ত বন্দোবস্ত রয়েছে তারাই কেবল মাত্র হোম আইসোলেশনের সুবিধা পাবেন। সেক্ষেত্রেও মনে রাখতে হবে মৃদু উপসর্গযুক্ত রোগী হতে হবে। পাশাপাশি হোম আইসোলেশন হলেও বাড়ির অন্য কোনো ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা যাবেনা এবং আইসোলেশনের ক্ষেত্রে বাড়িতে সমস্ত রকম ব্যবস্থাপনা থাকতে হবে।

৩) ক্যান্সার অথবা এইচআইভি কোন রোগী করোনা আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে তার হোম আইসোলেশন হবে না। পাশাপাশি এই একই নিয়ম সেই সকল ব্যক্তিদের জন্য জারি করা হয়েছে যাদের কোনরকম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করা হয়েছে।

৪) ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিরা যদি করোনা আক্রান্ত হন এবং তাদের উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, ফুসফুসের সমস্যা, কিডনি সমস্যা থেকে থাকে তাহলে তাদের ক্ষেত্রেও হোম আইসোলেশন হতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। তবে অবশ্যই মৃদু সংক্রমণ হতে হবে।

৫) করোনা রোগী এবং করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ওষুধ নিতে হবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।

৬) হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে আরোগ্য সেতু অ্যাপ তার স্মার্টফোনে ইন্সটল করে রাখতে হবে। পাশাপাশি সবসময়ের জন্য ব্লুটুথ এবং ইন্টারনেট কানেকশন রাখতে হবে।

৭) হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীর সাথে ২৪ ঘন্টা একজন দেখভাল করার মতো লোক থাকতে হবে। যিনি সময়মতো হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ রাখবেন এবং সব সময় রোগীর খেয়াল রাখবেন।

৮) হোম আইসোলেশন নিয়ে যাওয়ার আগে রোগীকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে মেডিকেল অফিসারকে তার শারীরিক সমস্ত রকম পরিস্থিতি জানানোর জন্য।

৯) হোম আইসোলেশনে থাকার সময় রোগীকে সমস্ত রকম নির্দেশাবলী অথবা নিয়ম কঠোরভাবে মেনে চলতে হবে। চিকিৎসকের যদি কোন রকম সন্দেহ হয় সে ক্ষেত্রে হোম আইসোলেশনের অনুমতি দেওয়া না দেওয়ার সম্পূর্ণটাই চিকিৎসকের উপর নির্ভর করছে।

১০) হোম আইসোলেশনে থাকার সময় রোগীকে থ্রি লেয়ার মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর সেই মাস্ক ভিজে গেলে অথবা নোংরা হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা ফেলে দিতে হবে। আর তা নাহলেও ৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর তা পরিবর্তন করতে হবে।

১১) মাস্ক ফেলার আগে অবশ্যই তাকে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। জীবাণুমুক্ত করার জন্য মাস্কটিকে ১% সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড ব্যবহার করতে হবে।

১২) নির্দিষ্ট সময়ের অন্তর অন্তর হাত পরিষ্কার করতে হবে।

১৩) খেয়াল রাখতে হবে হোম আইসোলেশনে থাকা ব্যক্তি যেন বাড়ির বয়স্ক, অসুস্থ এবং ছোটদের সংস্পর্শে না আসেন।