নিজস্ব প্রতিবেদন : ৫ আগষ্ট থেকে থেকে কনটেইনমন্ট জোন ছাড়া দেশের সর্বত্র যোগা কেন্দ্র ও জিম খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বিভিন্ন পর্ব অনুযায়ী চলছে লকডাউন ও আনলক পর্ব। বর্তমানে তৃতীয় আনলক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। যোগা এবং শারীরিক ব্যায়াম স্বাস্থ্যের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। সেই হিসাবে এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রকে বিশেষভাবে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে তার সঙ্গে জারি করা হয়েছে বেশকিছু বিধিমূলক ব্যবস্থা। জারি হয়েছে নতুন নির্দেশিকা।
কেন্দ্র সরকারের বিধিমূলক নির্দেশিকা
১. কনটেইনমেন্ট জোনে কোনপ্রকার যোগা বা জিমনেশিয়াম খোলা যাবে না। কনটেইনমেন্টের বাইরেই শুধু খোলা যাবে।
২. কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের নিয়মিত পাঠানো সকল স্বাস্থ্য সম্মত নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে যোগা ও জিমনেশিয়াম সেন্টারগুলিকে।
৩. ৬৫ বছর বয়স্ক মানুষ, যেসব ব্যক্তিরা নানা রোগে ভুগছেন, গর্ভবতী মহিলা ও ১০ বছর বয়স্ক বাচ্চাদের বদ্ধ যোগা বা জিম ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানের পরিচালকদের এই নির্দেশাবলী পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৪. সকলকেই ৬ ফুট দূরত্ব রেখে চলতে হবে। মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক। তবে যোগা বা জিমনেসিয়ামে N-95 মাস্ক ব্যবহার করা শ্বাস প্রশ্বাসের অসুবিধা হতে পারে।
৫. যোগা বা জিম সেন্টারে প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে ৪ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে। জিমনেসিয়ামে যন্ত্রগুলির দূরত্ব রাখতে হবে নূন্যতম ৬ মিটার। যেগুলো খোলা জায়গায় করা সম্ভব, সেগুলোকে খোলা জায়গায় করতে হবে। প্রবেশ ও বেরনোর আলাদা ব্যবস্থা করতে হবে। তা চিহ্নিত করে দিতে হবে কোনদিক দিয়ে ঢুকতে হবে, বেরতে হবে।
৬. যেসব যোগা ও জিমনেসিয়ামে এয়ারকন্ডিশেনের ব্যবস্থা আছে সেখানে তাপমাত্রা রাখতে হবে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্ৰি সেন্টিগ্ৰেডের মধ্যে। হিউমিডিটি থাকতে ৪০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশের মধ্যে। ব্যবস্থা রাখতে হবে বিশুদ্ধ বাতাস প্রবেশের।
৭. জিমনেসিয়ামের জেনারেল এলাকায় স্টাফ ও সদস্য সংখ্যা নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। নির্দিষ্ট জিমনেসিয়াম রুমেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে সদস্যদের।
৮. যোগা জিমেনেসিয়ামের লকার রুমে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
৯. ডাস্টবিন ও জঞ্জালের জায়গাগুলো ঢেকে রাখতে হবে।
১০. যোগা বা জিম সেন্টারের যেসব কর্মী বয়স্ক, গর্ভবতী ও রোগ আছে তাদের সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেখানে সংস্পর্শে আসার সম্ভবনা আছে সেখান থেকে দূরে কাজের দায়িত্ব নিতে হবে।
১১. হাউসকিপিং স্টাফদের প্রশিক্ষিত করার ব্যবস্থা করতে হবে কিভাবে পরিস্কার রাখতে হবে সবকিছু। থুতু ফেলা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এই এলাকায়।
১২. যোগা ও জিমনেশিয়ামের যেসব কর্মী কনটেইনমেন্ট জোনে থাকেন তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।
১৩. যোগা ও জিমনেশিয়ামে যদি খোলা জায়গা বা পরিসর থাকে সেখানে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৪. ট্রেনার ও ক্লায়েন্টের মধ্যে দূরত্ব রাখার ব্যাবস্থা করতে হবে। গ্ৰুপ ক্লাসগুলিতেও সকল রকম নিয়ম মানতে হবে। সম্ভব হলে অনলাইন গ্ৰুপ ক্লাসের ব্যবস্থা করতে হবে।
১৫. সদস্যদের ঢোকা ও বেরনোর ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
তবে স্পা, সনা, স্টিম বাথ ও সুইমিং পুলের মতো পরিষেবা এখনও খুলবে না বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।