নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারত সবেমাত্র সংক্রমণ কমিয়ে স্বস্তির মুখ দেখতে শুরু করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত হাতে কোন ভ্যাকসিন না আসায় একেবারে স্বস্তি মিলছে তা বলা যায় না। আর এমত অবস্থাতেই আরও অস্বস্তির বাতাবরণ তৈরি করেছে নতুন করোনা স্ট্রেন, যা ইতিমধ্যেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্রিটেন।
মঙ্গলবার এক সাংবাদিক বৈঠকে নতুন এই করোনা স্ট্রেনের সংক্রামক ক্ষমতা নিয়ে মুখ খুলতে দেখা গেল কেন্দ্রকে। কেন্দ্রের নীতি আয়োগের সদস্য ডঃ ভি কে পাল স্বীকার করে নিয়েছেন করোনার এই নতুন স্ট্রেন যে সুপার স্প্রেডার, তার তত্ত্ব। তিনি জানিয়েছেন, “ব্রিটেনের এই ভাইরাসের নতুন মিউটেশন দেখা গিয়েছে। আমরা ব্রিটেনের গবেষণা সংস্থাগুলির সাথে কথা বলেছি। আর তাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি এই ভাইরাসের মিউটেশন হওয়ার ফলে এর সংক্রামক ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। বলাই যেতে পারে সুপার স্প্রেডারে পরিণত হয়েছে এই ভাইরাস।”
করোনার নতুন স্ট্রেন নিয়ে আতঙ্কের কারণ কতটা?
করোনার এই নতুন স্ট্রেনের সংক্রামক ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি শুনেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক দানা বাঁধতে শুরু করেছে। তবে এ বিষয়ে ডঃ ভি কে পাল দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, “এই নতুন মিউটেশন রোগের হারকে গুরুতরভাবে যেমন বৃদ্ধি করছে না। পাশাপাশি মৃত্যুর হার বা হাসপাতালে রোগী ভর্তির হারও বৃদ্ধি করছে না। ব্রিটেনে দেখা দেওয়া নতুন স্ট্রেন এখনও অবধি ভারতে দেখা যায়নি। উদ্বেগ বা আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। আমাদের আপাতত সজাগ থাকতে হবে।”
তবে কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতে এখনো অব্দি নতুন প্রজাতির এই করোনাভাইরাসের খোঁজ পাওয়া না গেলেও সংক্রমণ রুখতে তড়িঘড়ি বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পদক্ষেপগুলির মধ্যে অন্যতম ব্রিটেনের সাথে সাময়িকভাবে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রাখা, সম্প্রতি ব্রিটেনের থেকে যারা ভারতে এসেছেন তাদের চিহ্নিতকরণ করা এবং আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পদ্ধতিতে করোনা পরীক্ষা করা। যদি কারোর রিপোর্ট পজেটিভ দেখা যায় তাহলে সেই স্যাম্পেল সংগ্রহ করে জিনগত গঠনকে পরীক্ষা করা।