The central government can increase the minimum wage from this day before the election: সামনেই আসছে লোকসভা নির্বাচন। আর এই নির্বাচনের আগে (Central Wages before Election) অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে চলেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পরিচালিত ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার। ভোটের আগেই শ্রমিকদের মুখে হাসি ফোটাতে বৃদ্ধি করা হচ্ছে জাতীয় ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ। এই ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ বাধ্যতামূলক হবে দেশের সমস্ত রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে। বর্তমানে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে নূন্যতম মজুরির পরিমাণ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হলেও রাজ্য গুলির ক্ষেত্রে এটি মানার বিষয়ে বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখা যায় না। তবে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ২০২১ সাল থেকে এসপি মুখার্জির নেতৃত্বে গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির প্রস্তাব দেওয়া ফ্লোর ওয়েজ অনুসারে কার্যকর করা হবে।
২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত রয়েছে এই কমিটির মেয়াদ কাল। বিশেষ তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে আমাদের দেশের বর্তমানে প্রায় পঞ্চাশ কোটি শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরির পরিমাণ দৈনিক ১৭৬ টাকা। এই বিপুল সংখ্যক শ্রমিকের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ শ্রমিকই অসংঘটিত ক্ষেত্রে কর্মরত। কিন্তু ন্যূনতম মজুরির এই পরিমাণের হার কেই সংশোধন করতে চাইছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার। মজুরি কোড ২০১৯ এর অধীনে নতুন ন্যূনতম মজুরির হার নির্দিষ্ট করা হলে তা দেশের প্রতিটি রাজ্যের জন্য বাধ্যতামূলক হিসেবে গণ্য হবে।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে ২০১৯ সালে অনুপ সতপথির নেতৃত্বে গঠিত কমিটির তরফ থেকে শ্রমিকদের দৈনিক মজুরির হার ৩৭৫ টাকা নির্দিষ্ট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় সরকারের তরফ থেকে এই কমিটির প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। কারণ মনে করা হয়েছিল ৩৭৫ টাকা দৈনিক মজুরির পরিমাণ হলে রাজ্য গুলির উপর বাড়তি আর্থিক বোঝা চাপবে।
আরও পড়ুন ? ১০০ দিনের কাজে কত টাকা মজুরি পান শ্রমিকরা, কেন এই প্রকল্প নিয়ে এত টানাটানি
তবে বর্তমানে মনে করা হচ্ছে এখনকার ১৭৬ ও আগের প্রস্তাবিত ৩৭৫ টাকার মধ্যে কিছুটা সামঞ্জস্য বজায় থাকবে। এই প্রসঙ্গে একজন আধিকারিক জানিয়েছেন “আর্থিক বোঝা যাতে খুব বেশি না চাপে রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির ওপর সেটা মাথায় রাখা হচ্ছে। তবে মুদ্রাস্ফীতি, পরিবার চালাতে যা খরচ হয়, খাদ্য ও অন্যান্য জিনিস কিনতে সেই সব হিসাব করেই চূড়ান্ত সংখ্যাটি ঠিক করা হবে”।
২০১৯ এর কোড অন ওয়েজ অনুযায়ী ভৌগলিক এলাকার বিভিন্নতায় মজুরির আলাদা আলাদা পরিমাণ নির্দিষ্ট করতে পারে সরকার। তবে এ কথাও বলা হয়েছে যে সরকারের পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া নূন্যতম মজুরির হার ফ্লোর মজুরির থেকে কম হলে শ্রমিক দের মজুরি কেটে নেওয়া যাবে না। বর্তমানে কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে এই মজুরির পরিমাণ কম এবং কিছু রাজ্যের ক্ষেত্রে মজুরির পরিমাণ বেশি হওয়ার জন্য শ্রমিকদের মধ্যে এক স্থান ছেড়ে অন্য স্থানে যাওয়ার প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে ভোটের আগেই (Central Wages before Election) শ্রমিকদের সুবিধার্থে কেন্দ্রের চালু করা নতুন নিয়ম অনুসারে দেশের সমস্ত রাজ্যের একই নূন্যতম মজুরির পরিমাণ নির্দিষ্ট থাকলে এই প্রবণতা কিছুটা হলেও কমবে।