আগামী সপ্তাহে একগুচ্ছ ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকলেও সমাবেশ নয়, কড়া বার্তা কেন্দ্রের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মার্চ মাস থেকেই যেকোন রকম ধর্মীয় সমাবেশ এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হয়। যে কারনে আমরা দেখছি শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব, পাথর চাপুরীর দাতা সাহেব মেলা বাতিল হতে। এরপর অনুরোধ নয়, ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাতিল করার ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। এবারও একই বার্তা দিল কেন্দ্র।

Advertisements

Advertisements

এ বিষয়ে প্রত্যেকটি রাজ্যকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকলেও কোনো রকম সমাবেশ করা যাবে না বলে জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে। কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে নির্দেশ পাঠানো হয়েছে, লকডাউনের মধ্যে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বা সমাবেশ পালনে যাতে রাজ্যগুলি অনুমতি না দেয়।

Advertisements

কেন্দ্রের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে তাতে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন কোন রকম ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া যেন কোন প্রকার ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা জমায়েতের অনুমতি দেওয়া যাবে না। পাশাপাশি নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাধারণ মানুষ, ধর্মীয় সংগঠন ও সামাজিক সংগঠনগুলিকে লকডাউন সংক্রান্ত বিধি নিষেধ সম্পর্কে যথাযথ জ্ঞাত করার জন্য প্রচার চালাতে হবে। আর যারা এই নিয়ম ভঙ্গ করবেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে ট্যুইট করে জানানো হয়েছে, “আগামী সপ্তাহে বেশ কিছু অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় উৎসব রয়েছে। আর দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সব ধর্মের নেতৃত্বদের এগিয়ে আসতে হবে মানুষকে লকডাউন মেনে চলা ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সরকারকে সহযোগিতা করার জন্য।”

প্রসঙ্গত, এপ্রিল মাসে থাকা একগুচ্ছ ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্যে গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ছিল শবে বরাত। শুক্রবার ছিল গুড ফ্রাইডে। এছাড়াও আগামী দিনে রয়েছে নববর্ষ, বৈশাখী, রঙ্গোলি বিহুর মতো নানান অনুষ্ঠান। আর বর্তমানে দেশে যে লকডাউন চলছে তা শেষ হওয়ার কথা আগামী ১৪ ই এপ্রিল থাকলেও এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। যে কারণে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে আগেভাগেই সতর্ক করা হয়েছে।

Advertisements