বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ সরকারি কর্মীদের নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই সাধারণ মানুষদের। সরকারি অফিসে কাজ দিনের পর দিন আটকে থাকার অভিযোগের মত অভিযোগ হামেশায় উঠছে দেখা যায়। তবে এই ধরনের অভিযোগ অর্থাৎ ১৮ মাসের বছরের দিন এবার শেষ হতে চলেছে। কেননা সরকারের তরফ থেকে সরকারি কর্মচারীদের ডিউটি আওয়ার্স (Government Employees Duty Hours) নিয়ে নয়া নীতির কথা জানাচ্ছে সরকার।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিতি নিয়ে আগেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এই বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স এখন অতীত। এবার কর্মীদের অফিসে ডিউটি করা নিয়ে কেন্দ্র সরকার নতুন নির্দেশিকা জারি করল। নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের রাতের ঘুম উড়বে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় অফিস অর্থাৎ ওই সকল অফিসের কর্মচারীদের ডিউটি আওয়ার্সের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম জারি করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সকাল ১০টা থেকে অফিস শুরু হওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ছুটি পাবেন সন্ধা সাড়ে ৬টায়। এক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে থাকা ইনকাম ট্যাক্স অফিস, জিএসটি অফিস, কাস্টমস অফিস সহ যে সকল কেন্দ্রীয় অফিস রয়েছে সেই সকল অফিসের কর্মীদের সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত কাজ করতে হবে। এই নিয়ম কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গের জন্যই জারি করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন : Home Improvement Loan: আপনার বাড়ি কি মেরামত করা প্রয়োজন তাহলে ব্যাঙ্কে আবেদন করুন এই ঋণের জন্য
সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ডিউটি করার ক্ষেত্রে মাঝে ৩০ মিনিটের জন্য টিফিন বিরতি পাবেন কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ৮ ঘন্টা কাজ করতে হবে। তবে ৮ ঘন্টা কাজ করার রীতি যে কোন রাজ্যের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যে সকাল ৯ টায় অফিস শুরু হয় এবং সাড়ে ৫টায় অফিস বন্ধ হয়। মাঝে দুপুর ১টা থেকে ১টা ৩০ পর্যন্ত রয়েছে টিফিন বিরতি।
কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দিনে ৮ ঘন্টার কাজ করার রীতি থাকার পাশাপাশি একসময় তাদের সপ্তাহে ৬ দিন কাজ করতে হতো। তবে চতুর্থ পে-কমিশন চালু হওয়ার পর থেকে সপ্তাহে ৬ দিনের পরিবর্তে ৫ দিনের কাজের রীতি চালু হয় এবং দুদিন ছুটি দেওয়া হয় সরকারি কর্মচারীদের। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত অফিস খোলা থাকলে কোন কোন ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের সমস্যা হলেও সাধারণ মানুষদের কিন্তু তা অনেক উপকারে আসবে। তবে মনে রাখতে হবে এই নিয়মের আওতায় কিন্তু পড়বে না কোন ব্যাঙ্ক।