নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় নাগরিকদের কাছে ভোটার কার্ড প্যান কার্ড রেশন কার্ড যতটা না গুরুত্বপূর্ণ তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। কেননা আধার কার্ড না থাকলে প্যান কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি করার ক্ষেত্রে নানান অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। এমনকি স্কুল-কলেজে ভর্তি থেকে শুরু করে জরুরি আরও কাজের ক্ষেত্রেও আধার কার্ড অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়াও সরকারি ভর্তুকি পাওয়ার ক্ষেত্রেও আধার কার্ড বা আধার নম্বর থাকা বাধ্যতামূলক।
আধার কার্ড দিন দিন গুরুত্বপূর্ণ নথি হয়ে দাঁড়ানোর ফলে বর্তমানে দেশের অধিকাংশ নাগরিকদেরই আধার কার্ড হয়ে গেছে। কিন্তু আধার কার্ড হলেও তা সচল রাখার জন্য UIDAI নতুন ঘোষণা করেছে। নতুন ঘোষণা অনুযায়ী যে সকল নাগরিকদের আধার কার্ডের ১০ বছরের বেশি হয়ে গিয়েছে তাদের তা আপডেট (Aadhaar Verification) করা জরুরি। এছাড়াও আধার কার্ড সক্রিয় রাখার জন্য যে সকল বাচ্চাদের বয়স পাঁচ বছর এবং ১৫ বছর হয়ে গিয়েছে তাদেরও ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করতে হবে।
অন্যদিকে আধার অথেন্টিকেশন নিয়েও নানান প্রশ্ন রয়েছে সাধারণ মানুষদের মধ্যে। সরকারি সংস্থা ছাড়া বেসরকারি সংস্থাগুলিও বেশ কিছু ক্ষেত্রে আধার অথেন্টিকেশন করার অনুমতি চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে নাগরিকদের গোপনীয়তা কতটা বজায় থাকবে এবং জালিয়াতির সম্ভাবনা বেড়ে যাবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই সাধারণ মানুষদের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার জন্য সময়সীমা বাড়ানো হলো।
গত ২০ এপ্রিল কেন্দ্রের ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আধার অথেন্টিকেশনে অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে একটি খসড়া প্রকাশ করেছিল। সেই খসরার উপর সাধারণ মানুষের প্রতিক্রিয়া জানানোর শেষ সময়সীমা ছিল ২০২৩ সালের ৫ মে। তবে এবার কেন্দ্রের তরফ থেকে সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলো।
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুসারে, বেশ কিছু ক্ষেত্রে আধার অথেন্টিকেশনের জন্য অনুমতি চাইতে পারে বেসরকারি সংস্থাগুলি। প্রস্তাবিত এই খসড়ার বিষয়ে সাধারণ মানুষদের মতামত দেওয়ার শেষ তারিখ বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ২০ মে।