New 3rd Line Project: ২১৭০ কোটি টাকায় রাজ্যে তৈরি হবে নতুন তৃতীয় রেল লাইন, সহজ হয়ে যাবে যোগাযোগ ব্যবস্থা

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ রেল পরিষেবার পরিকাঠামো আরও উন্নত থেকে উন্নততর করার জন্য রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কাজ চালানো হচ্ছে। ঠিক সেইরকমই এবার রাজ্যের নতুন একটি তৃতীয় লাইন (New 3rd Line Project) বসানোর জন্য অনুমোদন দিল কেন্দ্র সরকার। নতুন এই তৃতীয় রেললাইন বসানোর ক্ষেত্রে ২১৭০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।

Advertisements

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ২১৭০ কোটি টাকার বিনিময়ে যে নতুন তৃতীয় রেললাইন তৈরি করা হবে তা হতে চলেছে ১২১ কিলোমিটার দিন। ইতিমধ্যেই ওই রুটে দুটি লাইন থাকলেও চাপ অনেক বেশি থাকার কারণে যাত্রী থেকে পণ্য পরিবহন সবার ক্ষেত্রেই অনেকটাই সমস্যা হচ্ছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এবার তৃতীয় লাইন পেতে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও মসৃণ করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

Advertisements

কেন্দ্রের মোদি সরকার জামশেদপুর-পুরুলিয়া-আসানসোলের মধ্যে তৃতীয় লাইন তৈরীর অনুমোদন দিয়েছে। যে তৃতীয় লাইন তৈরি হবে ঝাড়খণ্ডের চান্ডিল, পুরুলিয়ার আনাড়া ও আসানসোলের দামোদর স্টেশন পর্যন্ত। রেলের এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে ৪২ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি হবে বলেও দাবি করা হচ্ছে। সব থেকে বড় বিষয় হল এই রুটে নতুন তৃতীয় লাইন তৈরি হলে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক মসৃণ হয়ে যাবে।

Advertisements

আরও পড়ুন : New Industrial City: সাড়ে ২৮ হাজার কোটি টাকায় তৈরি হবে ১২টি নতুন শিল্পনগরী, সম্মতি দিল কেন্দ্র

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে নতুন যে তৃতীয় লাইন তৈরীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে তা তৈরি হলে বাংলা থেকে দিল্লি, মুম্বাই সহ বিভিন্ন জায়গার সঙ্গে রেল যোগাযোগ অনেক মসৃণ হবে। তৃতীয় লাইন তৈরি হলে দুটি লাইনের উপর চাপ অনেক কমে যাবে এবং যাত্রীবাহী ট্রেন থেকে শুরু করে পণ্যবাহী ট্রেন নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা পাবে। আর এর ফলে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন স্থানের লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষেরা উপকৃত হবেন।

এছাড়াও এই তৃতীয় লাইন তৈরি হলে পুরুলিয়া, বর্ধমান সহ বিভিন্ন এলাকার অন্ততপক্ষে এক কোটি মানুষ উপকৃত হবেন। কেননা এই লাইন ধরেই বার্নপুর, দুর্গাপুরের মতো শিল্পাঞ্চলগুলির ইস্পাত কারখানায় আকরিক লোহা থেকে শুরু করে কয়লা ও ইস্পাত পৌঁছে যায়। আবার এই রেল লাইনের পাশেই রয়েছে মাইথন ও চুরুলিয়ার মত পর্যটন কেন্দ্র, রয়েছে কল্যাণেশ্বরী মন্দির, ঘাগরবুড়ি চন্ডী মন্দিরের মতো তীর্থক্ষেত্র। সুতরাং এমন একটি রেল প্রজেক্ট আগামীদিনে বাংলার মানুষদের অনেক উপকারে আসতে চলেছে।

Advertisements