নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে ধূমপান রোধ করার জন্য বিভিন্ন নিয়ম জারি করা হয়ে থাকে। সেই সকল নিয়মেও কিন্তু সিগারেট বিক্রি কমানো যায়নি। সচেতনতা বাড়াতে সিগারেটের প্যাকেটে বিভিন্ন ক্ষতিকর ছবি পর্যন্ত দেওয়া হয়। তবে দিন দিন বাড়ছে এই সিগারেট বিক্রির সংখ্যা এবং ধূমপায়ীদের সংখ্যা।
এসবের মধ্যেই এবার সরকার এমন একটি নিয়ম জারি করতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত, তাতে বাড়তি টাকা খসবে ধূমপায়ীদের পকেট থেকে। আর এনিয়েই এখন চিন্তায় পড়েছেন তারা। বহু ধূমপায়ী রয়েছেন যারা একবারে এক প্যাকেট সিগারেট কেনেন না। পরিবর্তে তারা তাদের চাহিদা মত খুচরো সিগারেট কিনে থাকেন। কিন্তু এবার নতুন যে নিয়ম জারি হতে চলেছে তাতে খুচরো সিগারেট বিক্রি করার ক্ষেত্রে জারি হচ্ছে বিধি নিষেধ।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে খুব তাড়াতাড়ি এই নিয়ম জারি করতে পারে বলে দাবি করা হচ্ছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবরে। যেখানে বলা হয়েছে লুজ অর্থাৎ খুচরো সিগারেট বিক্রি বন্ধ করার পরামর্শ দিয়েছে স্থায়ী সংসদীয় কমিটি। বিভিন্ন সূত্র দাবি করছে, এই কমিটিতে থাকা সাংসদরা খোলা সিগারেট বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরামর্শ দিয়েছে।
এই পরামর্শ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কমিটিতে থাকা সাংসদরা মনে করছেন, খুচরো সিগারেট বিক্রি বন্ধ হলে তামাকের ব্যবহার কমবে। খুচরো সিগারেট বিক্রির কারণে কোনোভাবেই তামাকের ব্যবহার কমানো সম্ভব হচ্ছে না। একসঙ্গে এক প্যাকেট সিগারেট কেনার ক্ষেত্রে খরচ অনেক বেশি হওয়ার কারণে অনেকেই সিগারেট কেনা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এমনিতে যে নিয়ম রয়েছে তাতে ১৮ বছরের কম বয়সী কাউকে সিগারেট বিক্রি করা যাবে না অথবা কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়াও স্কুল-কলেজের মতো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অন্ততপক্ষে ১০০ মিটার দূরে সিগারেট বিড়ি অথবা অন্য কোন তামাকজাত দ্রব্যের দোকান থাকতে হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মূলত শিক্ষার্থীরা এবং অল্প বয়সীরা যাতে তামাকের নেশায় জড়িয়ে না পড়েন তার জন্য সুদূর চিন্তাভাবনা করে এমন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে।