নিজস্ব প্রতিবেদন : ন্যাশনাল হাইওয়ে অফ অথরিটির নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় সড়ক অথবা এক্সপ্রেসওয়েতে যানবাহন নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রত্যেক যানবাহন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে টোল ট্যাক্স (Toll Tax) নেওয়া হয়। একসময় টোল আদায় পদ্ধতি এমন ছিল যে হাতে হাতে টাকা দিয়ে টোল মেটাতে হতো। আর এর ফলে টোল প্লাজাগুলিতে এতটাই গাড়ির লাইন লেগে যেত যে দীর্ঘক্ষণ টোল প্লাজায় কাটাতে হতো। তবে পরবর্তীতে এই নিয়মে বদল আসে।
টোল আদায় যাতে দ্রুত করা হয় তার জন্য কেন্দ্র সরকার চালু করে ফ্যাস্ট্যাগ। ফ্যাস্ট্যাগ চালু হওয়ার পর এখন যানবাহন টোল প্লাজায় পৌঁছালেই স্ক্যান করে হাতেগোনা কয়েক সেকেন্ড বা মিনিটের মধ্যেই টোল দেওয়া হয়ে যায়। তবে যতবার যানবাহন নিয়ে যাওয়া হয় ততবার টোল দিতে হয়। এই ক্ষেত্রেই এবার আসছে বদল (Monthly Toll Tax System)।
যে সকল নাগরিকরা ট্রেনে যাতায়াত করে থাকেন তাদের অনেকেই মান্থলি টিকিট বুক করে থাকেন। মান্থলি টিকিট বুক করে থাকার ফলে ওই সকল যাত্রীদের বারবার টিকিট বুক করতে হয় না। মান্থলি টিকিট করা এই সকল যাত্রীরা এই বিষয়টি নিয়ে সরগরম। ঠিক এইরকমই ব্যবস্থা আসতে চলেছে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, আগামী দিনে ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়া টোল প্রদানের ক্ষেত্রে মান্থলি এবং বার্ষিক প্ল্যান আনতে পারে।
ন্যাশনাল হাইওয়ে অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার এই যে পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা যাচ্ছে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন যানবাহন চালকদের সময় অনেক বেঁচে যাবে, ঠিক সেই রকমই আবার সরকারের কোষাগারে অনেক বেশি টাকা আসবে। টোল প্রদানের ক্ষেত্রে নতুন যে সিস্টেমের বিষয়টি জানা যাচ্ছে সেটি নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি।
নতুন এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে গাড়ি চালকরা একবার এই গোটা মাসের অথবা গোটা বছরের জন্য টোল ট্যাক্সের টাকা দিয়ে দিতে পারবেন। এরপর তারা যে টোল প্লাজাগুলির উপর দিয়ে যাবেন সেই সকল টোল প্লাজায় আলাদা পাশের মতো ব্যবস্থা থাকবে। এর হলে টোল দেওয়ার জন্য তাদের দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করতে হবে না। বলা যেতে পারে কোন রকম বাধা ছাড়াই তারা অনায়াসে নিজেদের গন্তব্যের দিকে ছুটে যেতে পারবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের এমন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন ন্যাশনাল হাইওয়ে অফ অথরিটির চেয়ারম্যান সন্তোষ কুমার।