Kerosene Oil: রেশনে ফের কেরোসিন নিয়ে টানাটানি! কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে হাত টান রাজ্য খাদ্য দপ্তরের

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : আজও গ্রামবাংলায় বহু বাড়ি রয়েছে যেখানে কেরোসিন তেল (Kerosene Oil) অত্যন্ত জরুরি একটি উপাদান হিসাবে গণ্য হয়ে থাকে। কেরোসিন তেল ওই সকল গ্রাম্য এলাকার পরিবারদের রান্না থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা হয়। তবে এবার ফের কেরোসিন তেল নিয়ে টানাটানি।

Advertisements

কেরোসিন তেল সরকারের তরফ থেকে ভর্তুকিতে দেওয়া হয় রেশন ব্যবস্থার (Ration) মাধ্যমে। কেন্দ্রের তরফ থেকে প্রত্যেক রাজ্যকে প্রতিমাসের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট পরিমাণ কেরোসিন তেল পাঠানো হয়। সেই সকল কেরোসিন তেল আবার রাজ্য খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ দপ্তরগুলি রেশন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে গ্রাহকদের কাছে বিলি করে। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য খাদ্য ও সরবরাহ দপ্তরের হাত টান পড়বে কেরোসিন তেল নিয়ে।

Advertisements

কেননা কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এবার পশ্চিমবঙ্গের জন্য কেরোসিন তেলের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে চিঠি করে এমনটা জানিয়েছে রাজ্য খাদ্য দপ্তরকে। কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে যে চিঠি করা হয়েছে সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, মে ও জুন মাসের জন্য পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য দপ্তর ৩৯ হাজার ২১২ কিলোলিটার কেরোসিন তেল পাবে। হিসেব অনুযায়ী প্রতি মাসের জন্য বরাদ্দ ২০ হাজার কিলোলিটারের কম।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Ration Card EKYC Online: রেশন কার্ড ই-কেওয়াইসি নেই! বাতিল হওয়ার আগেই বাড়িতে বসে সেরে ফেলুন ছোট্ট কাজটি

জানা যাচ্ছে, গত এপ্রিল মাসে পশ্চিমবঙ্গ ৫৮ হাজার কিলোমিটার কেরোসিন তেল পেয়েছিল কেন্দ্রের থেকে। কিন্তু মে মাস এবং জুন মাসের জন্য আচমকা এতটা কেরোসিন তেলের বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়ার কারণে সমস্যায় পড়তে হবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেননা এবার অনেকটাই কেরোসিন তেলের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। আর এই তেলের উপরই ভিত্তি করে পরপর দুটি মাস চালাতে হবে রাজ্য খাদ্য দপ্তরকে। আবার কেন এতটা বরাদ্দ কমানো হয়েছে তার সম্পর্কে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলেও জানা গিয়েছে।

রাজ্য খাদ্য দপ্তর সূত্রে যা জানা যাচ্ছে তাতে পশ্চিমবঙ্গের জন্য প্রতি মাসে কেরোসিন তেলের সাধারণ বরাদ্দ হলো ৫৮ হাজার কিলোলিটার। এপ্রিল মাসেও এই সাধারণ বরাদ্দ অনুযায়ী কেরোসিন তেল পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু মে মাস ও জুন মাসের জন্য যেভাবে বরাদ্দ কমানো হয়েছে তাতে দুই মাসের কপালে ২০ হাজার কিলোলিটারও কেরোসিন তেল জুটছে না।

Advertisements