নিজস্ব প্রতিবেদন : যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ভারতে বহু প্রকল্প রয়েছে যেগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য দুই সরকারের সহযোগিতায় চালানো হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিতে যে কোন প্রকল্প চালানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য দুই সরকারেরই সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে এক সরকার অন্য সরকারকে সহযোগিতার হাত না বাড়ালেই সেই সকল প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। ঠিক সেই রকমই একটি প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গে চালু থাকার ক্ষেত্রে সুতোয় ঝুলছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আটকে দেওয়ার অভিযোগ তুলতে দেখা গিয়েছে। আবার কেন্দ্রের তরফ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়ে আসছে, হিসাব না দেয় না রাজ্য। এমনকি এই ধরনের ঘটনায় দুর্নীতি রয়েছে বলেও কেন্দ্রের তরফ থেকে দাবি করা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার যে প্রকল্পের টাকা নিয়ে দুই সরকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা গেল সেটি হল ‘সমগ্র শিক্ষা অভিযান’।
সমগ্র শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের শিক্ষার উন্নয়ন করা হয়ে থাকে। শিক্ষার উন্নয়নের জন্য এই প্রকল্পের আওতায় স্কুল বিল্ডিং থেকে শুরু করে স্কুলের পরিকাঠামো নির্মাণ সহ বিভিন্ন কাজ করা হয়। এই প্রকল্পের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে ৬০ শতাংশ এবং রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৪০% বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এবার এই প্রকল্পের টাকা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলেও কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক আটকে দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে, সমগ্র শিক্ষা অভিযান মিশনের জন্য গত জানুয়ারি মাস থেকে রাজ্য সরকার কেন্দ্রের থেকে ২০০০ কোটি টাকা পায়। এত গেল গত অর্থ বর্ষের কথা। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, গত অর্থ বর্ষের বকেয়া টাকা থাকার পাশাপাশি চলতি অর্থের জন্য কোন টাকায় বরাদ্দ করা হয়নি। চলতি অর্থবর্ষে টাকা বরাদ্দ করা না হওয়ার ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রকল্প কিভাবে চলবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
তবে প্রশ্ন হল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই প্রকল্পের জন্য টাকা আটকে দিল? টাকা আটকে দেওয়ার পিছনে রয়েছে পিএম শ্রী (PM Shri)। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে পিএম শ্রী প্রকল্পে জন্য চুক্তিতে স্বাক্ষর করা হয়নি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে স্পষ্টভাবেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, পিএম শ্রী চুক্তি না করলে কেন্দ্র সরকার সমগ্র শিক্ষা অভিযানের টাকা দেবে না। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে টাকা আটকে দেওয়া অসংবিধানিক বলে দাবি করা হয়েছে এবং এই বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।