Pan Card Number: ভারতীয় নাগরিক হিসেবে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রের মতো প্যান কার্ড হল আরেকটি জরুরী নথিপত্র। যা বিভিন্ন ব্যাংকিং সংক্রান্ত কাজে এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নাগরিকদের কাজে লাগে। কেন্দ্রীয় সরকার এই প্যান কার্ড নিয়ে অবশেষে বড় রকমের সিদ্ধান্ত নিল। যারা বিষয়টি সম্পর্কে এখনো অবগত নন তারা আজকের প্রতিবেদনটি অবশ্যই মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
প্যান কার্ড সংক্রান্ত (Pan Card Number) বিভিন্ন বিষয় অবশ্যই সকলের জানা উচিত। ধরুন কখনো কোন কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছেন তখন আইডেন্টিটি হিসাবে এটি কাজে আসবে। আবার কখনো যদি হোটেলে চেক ইন করতে যান তখন অবশ্যই প্যান কার্ড দেখাতে হয়। কিন্তু কার্ডটি যদি বাতিল করে দেওয়া হয় তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে। প্যান কার্ড একটি পরিচয়পত্র এবং সঠিক সময় এটি কাজে না আসলে বিপদ আপনারই।
আরো পড়ুন: বছরের শেষেই মধ্যবিত্তের পকেটে পড়বে টান, বাড়তে চলেছে একাধিক জিনিসের মূল্য
বর্তমানে আধার কার্ডের যতটা গুরুত্ব প্যান কার্ডের (Pan Card Number) গুরুত্ব ততটাই। সিম কার্ড কেনার সময় অনেক ক্ষেত্রেই প্যান কার্ডের প্রয়োজন হয়। যদিও প্যান কার্ডের প্রধান কাজ হল আয়কর বিভাগের সঙ্গে সাধারণ মানুষের লিঙ্ক বজায় রাখা। কেন্দ্রীয় সরকার প্যান কার্ডের নম্বর নিয়ে বড় রকমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিভিন্ন বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণ মানুষের অজান্তেই ব্যবহার করে চলেছে এই প্যান কার্ডের নম্বর। কীভাবে বুঝতে পারবেন এই কাজটি?
আরো পড়ুন: রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যেনো সোনার খনি জেনে নিন দেশের তহবিলে কত সোনা জমা রয়েছে
কখনো খেয়াল করে দেখেছেন কি প্রতি একমাস কিংবা দুমাস অন্তর আপনার ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে একটি ম্যাসেজ হয়তো আসে? পাঁচ মিনিটের মধ্যেই লোন দেওয়া হবে এমন প্রলোভন দেখানো হয় অনেক জায়গাতে। দ্রুত হোম লোন দেওয়া হবে এমন প্রতিশ্রুতিও দেয় অনেকে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের এই প্যান কার্ড নম্বর নিয়েই নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির খেলা খেলে। এরপরই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। যে প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের প্যানকে (Pan Card Number) নিজের মত করে ব্যবহার করছে সে প্যান কার্ডকে প্যান এনরিচমেন্ট করছে। কথাটির অর্থ হল যখনই কোন ব্যক্তির কোনও লোন শেষ হয়ে যাচ্ছে তখনই তাকে টার্গেট বানানো হচ্ছে ফের লোন নেওয়ার জন্য।
হয়তো অনেকেই পুনরায় লোন নেওয়ার পক্ষপাতী নয় কিন্তু তবুও তাকে সেই দিকে ঠেলে দেওয়ার প্রচেষ্টা চলে। ভারতের সাইবার ক্রাইম বিভাগ এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেবে। আগামীদিনে ডিজিটাল পার্সোনাল ডাটা প্রোটেকশন আইন ২০২৩ শুরু করা হবে। এরফলে সুবিধা হবে যে, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান সাধারণ মানুষের ক্রেডিট ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য আগে অনুমতি নেবে। কোন ব্যক্তি যদি এক্ষেত্রে বারণ করে তাহলে কোনভাবেই সেই প্রতিষ্ঠান আর এগোতে পারবেনা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগকে সত্যি প্রশংসা করতে হয়।