এক বছর ধরে কাটবে বেতন, বাড়বে না ডিএ, কেন্দ্রের বড় ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ফলে ইতিমধ্যেই ভেঙ্গে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। ভারতেও পড়েছে এর প্রভাব। দেশজুড়ে লকডাউন চলার ফলে দেশের রাষ্ট্র কোষেও টান পড়ছে। একদিকে দেশের একটি বড় জনসংখ্যার কাছে খবর ও অত্যাবশ্যকীয় দ্রব্য পৌঁছে দেওয়া, আবার অন্যদিকে চিকিৎসা ক্ষেত্রে টাকা নিয়োগ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের বীমা, সব দিক সামাল দেওয়ার চেষ্টায় রাষ্ট্রের অর্থ ভান্ডারে টান পড়ছে প্রতিনিয়ত।

সেই পরিপ্রেক্ষিতে এবার কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্ব দপ্তর তার কর্মীদের বেতনের অংশ কাটার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি মাসে একদিনের বেতন কাটা হবে। মে মাসে কর্মীদের যে বেতন দেওয়া হবে সেখান থেকেই কাটা যাবে একদিনের বেতন। তবে শুধু এই মাসেই না, আগামী এক বছর প্রতি মাসে কর্মীদের একদিনের বেতন কাটা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের আপাতত বর্ধিত মহার্ঘ ভাতা না দেওয়ার সম্ভাবনাও দেখা গেছে।

মূলত অর্থনৈতিক মন্দার জেরে দেশের আর্থিক অবস্থার উন্নতির জন্যই এরকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বেতনের কিছুটা অংশ কেন্দ্রীয় রাজকোষে ভরে হাল ফেরানোর চেষ্টায় আছে কেন্দ্রীয় সরকার।

সংবাদমাধ্যম সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার রাজস্ব বিভাগকে একটি সার্কুলার পাঠিয়ে দিয়েছেন যেখানে বলা হয়েছে, রাজস্ব দপ্তরের অফিসার ও কর্মীদের কাছে আবেদন করা হবে যে তারা যেন ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ আগামী ১ বছরের প্রতি মাসে একদিনের বেতন প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলে দান করেন।

সাথে এও বলা হয়েছে, এই আবেদনে যদি কোনো অফিসার বা কর্মীর আপত্তি থাকে সেক্ষেত্রে তাঁর নিজের এমপ্লয় কোড উল্লেখ করে বিষয়টি রাজস্ব দফতরকে জানাতে হবে। আর তা করতে হবে আগামী ২০ই এপ্রিলের মধ্যে। কেন্দ্রীয় সরকারের আবেদন অনুসারে সরকারের যেসব বিভাগ বর্তমানে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের বেতন কাটা হবে না। বাকি অন্য সব দফতরের আগামী ১ বছরের প্রতি মাসের ১ দিনের বেতন প্রধানমন্ত্রীর তহবিলে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে।

তবে এই ১ দিনের বেতন ছাড়া বর্তমান পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীদের বর্ধিত ডিএ না পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে।বিগত বছরের ১৩ই মার্চ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যা ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে কার্যকরী হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই বর্ধিত অংশ থেকে বর্তমানে বঞ্চিত হতে পারেন কর্মীরা। এছাড়াও পেনশনারদের জন্য ৪ শতাংশ ডিয়ারনেস রিলিফ (ডিআর) বৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় তাও বর্তমান পরিস্থিতিতে অকার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।