ট্রেনের বগিতে হবে কোয়ারেন্টাইন, করোনা ঠেকাতে নতুন উদ্যোগ ভারতীয় রেলের

নিজস্ব প্রতিবেদন : বিশ্বজুড়ে প্রতি ঘন্টায় বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে চলেছে যে বিশ্বে এর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষ ৩১ হাজার ৮০৪, আর ভারতে সংখ্যাটা ৭২৭। আর এই সংক্রমণের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউনের পদক্ষেপ নিয়েছেন। সামাজিক দূরত্ব তৈরি করতেই এই লকডাউন, যাতে করে এই সংক্রমণ ভারতে বিপুল পরিমাণে ছড়িয়ে না পড়ে। ভারতে এই সংক্রমণ বিপুল পরিমাণে ছড়িয়ে গেলে বিশ্বের প্রতিটি দেশকে সংক্রমনের সংখ্যায় ছাপিয়ে যাবে। আর এসবের মাঝেই এবার করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ভারতীয় রেলকে ব্যবহার করার উদ্যোগ নিল কেন্দ্র সরকার।

রেল মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা সংক্রমণ মোকাবেলায় ট্রেনের এসি কোচগুলিকে কোয়ারেন্টাইন রুম হিসাবে ব্যবহার করা হবে। এইসব কোচগুলিতে করোনা চিকিৎসার সমস্ত রকম ব্যবস্থা থাকবে। ভারতের মতো বৃহৎ দেশে শহরগুলিতে চিকিৎসা ব্যবস্থা সুষ্ঠু বন্দোবস্ত থাকলেও গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গাতেই এখনও পর্যন্ত চিকিৎসা ব্যবস্থার অভাব রয়ে গেছে। তাই সেই সমস্ত এলাকায় চিকিৎসা সংকট দেখা দিলে এই বিশেষ ট্রেনগুলিকে ব্যবহার করতে চাই কেন্দ্র। তাই করোনা মোকাবিলায় দেশের বৃহত্তম গণমাধ্যমকে ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে কেন্দ্রের।

দেশজুড়ে গত তিনদিন ধরে লকডাউন শুরু হয়েছে, চলবে ২১ দিন। কিন্তু এর মাঝেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা। সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। ইতিমধ্যেই সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ২০-তে। আর বিশেষজ্ঞদের মতে লকডাউন মেনে চলে নিজেদের গৃহবন্দী করে রাখায় হলো এই মুহূর্তে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। তবে এত চেষ্টা সত্ত্বেও যদি এই ভাইরাসের সংক্রমণকে ঠেকানো সম্ভব না হয় তাহলে তা সরকারের পক্ষে বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ইটালি, আমেরিকা, ফ্রান্স, স্পেন, চীন সহ নানান দেশের তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে আগাম সর্তকতা অবলম্বন করতে চাইছে ভারত সরকার।

তবে অন্যান্য দেশে এই ভাইরাস অনেক আগে ছড়ালেও ভারতে সবেমাত্র দিন ১৫ আগে থেকে এর টের পাওয়া শুরু হয়। তবে এই কয়েকদিনে সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা অনেকটাই ছুঁয়েছে ভারতে। আগামী দিনে আমরা যদি আরও সতর্ক না হয় তাহলে এই সংক্রমণ ঠেকানো অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে। তাই বারবার সরকারের তরফ থেকে অনুরোধ করা হচ্ছে ‘বাড়িতে থাকুন’। আর বাড়িতে থাকার জন্য কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একগুচ্ছ প্রকল্প আনা হয়েছে, যাতে করে দেশের হতদরিদ্র মানুষেরা বিপদে না পড়েন।