Scholarship For Students: আমাদের সমাজে সবথেকে বড় সমস্যা হলো স্কুল ছুট। কিন্তু শিক্ষার মান বাড়াতে গেলে এই সমস্যার সমাধান করা একান্ত প্রয়োজনীয়। শহরাঞ্চলে এই সমস্যা দেখা না গেলেও গ্রামের দিকে এটি একটি বড় সমস্যা। অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়, পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়াশোনায় ভালো কিন্তু পারিবারিক সচ্ছলতা না থাকার কারণে তারা নিজেদের পড়াশোনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। যার ফলে মাঝপথেই বন্ধ হয়ে যায় তাদের পড়াশোনা। আপনিও যদি নিজের সন্তানকে সঠিকভাবে পড়াশোনা করাতে চান কিন্তু অর্থের অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছেন তাহলে একেবারেই চিন্তা করবেন না আপনার পাশে রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় সরকার আপনার সন্তানের পড়াশোনাকে সঠিকভাবে চালিয়ে যাওয়ার জন্য স্কলারশিপ হিসাবে দেবে ১২,০০০ টাকা। চমকে গেলেও এই কথা একেবারে সত্যি।
স্কুলছুট সমস্যার সমাধান করার জন্যই কেন্দ্রীয় সরকার এই স্কলারশিপের (Scholarship For Students) ব্যবস্থা করেছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক এর তরফ থেকে এই উদ্যোগকে সত্যিই প্রশংসা করতে হয়। যেসব পড়ুয়ারা এই স্কলারশিপের আওতায় আসবে তারা বার্ষিক ১২,০০০ টাকা পাবে। দেশে প্রায় এক লাখ স্কলারশিপ দেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পের আওতায়। ২০২৪-২৫ সালের ‘ন্যাশনাল মিনস-মেরিট স্কলারশিপ স্কিম’ (NMMSS) এর জন্য দেশের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত এই আবেদন করতে পারবে। সূত্র অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৮০ হাজারের বেশি নতুন শিক্ষার্থী এই বৃত্তির জন্য আবেদন করেছে।
কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে এই স্কলারশিপ (Scholarship For Students) পাওয়ার জন্য? আবেদনকারীদের প্রথমে এনএসপি পোর্টালে এককালীন রেজিস্ট্রেশন (ওটিআর) করতে হবে, এরপরে শিক্ষার্থীদের নির্বাচিত বৃত্তি প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে হবে। নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে ‘ন্যাশনাল মিনস-মেরিট স্কলারশিপ (NNMSM) স্কিম’-এর জন্য। এই ধরনের ছাত্র-ছাত্রীদের এই প্রকল্পটি সত্যি সহায়তা করবে পড়াশোনার জন্য।
আরো পড়ুন: ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর (ডিএফসি) প্রকল্পের মাধ্যমে কি নতুনত্ব এলো ভারতীয় রেল পণ্য পরিবহনে?
কারা এই প্রকল্পের আওতায় স্কলারশিপ (Scholarship For Students) পাবে? নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা অবশ্যই এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারে। ডিবিটি মোডের পরে বৈদ্যুতিন স্থানান্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি পাঠানো হবে। যেসব শিক্ষার্থীদের বাবা-মায়ের বার্ষিক আয় ৩,৫০,০০০ টাকার কম, তারাই একমাত্র এই স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্য।
কিভাবে স্কলারশিপ পাবে ছাত্র-ছাত্রীরা? প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য একটি বাছাই পরীক্ষায় বসতে হবে। পাশাপাশি সপ্তম শ্রেণির পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫৫ শতাংশ নম্বর বা সমতুল্য নম্বর থাকতে হবে (তপশিলি জাতি/উপজাতি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ ছাড়)। বৃত্তির আবেদনগুলি জাতীয় বৃত্তি পোর্টালে যাচাইকরণের দুটি স্তরের মধ্য দিয়ে যায়। স্কুল স্তরে ইনস্টিটিউট নোডাল অফিসার (আইএনও) দ্বারা এবং দ্বিতীয়টি জেলা নোডাল অফিসার (ডিএনও) দ্বারা অবশ্যই তা যাচাই হবে।