The Central Govt is taking big initiatives for India’s Road Infrastructure: যেকোনো দেশের উন্নত রাস্তাঘাট সেই দেশের সবথেকে বড় সম্পদ। খুব শীঘ্রই আমল পরিবর্তন আসতে চলেছে দেশের সড়ক ব্যবস্থায় (India Road Infrastucture)। যা রীতিমতো টক্কর দিতে পারবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উন্নত রাস্তাঘাটগুলোকে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়কড়ি দাবি করেছে যে, রাস্তা নির্মাণের নানারকম নতুন নতুন প্রকল্প, দুর্ঘটনা থেকে শুরু করে দূষণহীন গণপরিবহণ-সহ বিভিন্ন ইস্যুতে সংসদে প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
সংসদে আলোচনা হওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের মধ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নানারকম প্রকল্পের কথা সামনে আনেন। তিনি বক্তব্য রেখেছেন যে, দেশের মেট্রো শহরগুলোর যানজট কাটানোর জন্য ৬৫ হাজার কোটি টাকার রাস্তা তৈরি করতে হবে (India Road Infrastructure)। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম গুলো হল দ্বারকা এক্সপ্রেসওয়ে, দিল্লি মিরাট এক্সপ্রেসওয়ে ও ইস্টার্ন পেরিফেরাল এক্সপ্রেসওয়ে। তবে রাস্তা খাতে খরচ হবে ৯ হাজার, ৮ হাজার এবং ১২ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় সরকার দিল্লিতে NCR-এ ছয় লেনের রাস্তা তৈরির জন্য বরাদ্দ করেছে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন যে, বর্তমানে ভারতের সড়ক ব্যবস্থা দ্রুত উন্নতি লাভ করছে তার সব থেকে বড় প্রমাণ হলো বিভিন্ন জায়গার এক্সপ্রেসওয়েগুলো (India Road Infrastructure)। ভারতের এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসনীয় যা তাদের সাতটি বিশ্বরেকর্ড গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে। খুব শিগগিরই আমেরিকার সাথে ভারতের সড়ক ব্যবস্থার খুব বেশি একটা পার্থক্য থাকবে না যা ভারতীয় হিসেবে সত্যিই গর্বের।
যদি কোন দেশের সড়ক ব্যবস্থা উন্নতি লাভ করে তাহলে সেই দেশের শিল্প এবং বাণিজ্য অবশ্যই উচ্চতার শিখরে পৌঁছাবে। মোদি সরকারের আরেকটি সাফল্যের উদাহরণ হল মানালি ও লাহুল-স্পিতি সংলগ্ন রোটাং পাসের অটল টানেল (India Road Infrastructure)। যে রাস্তা পৌঁছতে আগে লাগতো তিন ঘন্টা সময় তা এখন আধ ঘন্টার মধ্যে সম্পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আরেকটি সাফল্যের উদাহরণ হল কাটরা-দিল্লি এক্সপ্রেসওয়ে ও দিল্লি-শ্রীনগর এক্সপ্রেসওয়ে। বর্তমানে জোজিলা পাসে এশিয়ার সবচেয়ে বড় টানেল তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
সড়কব্যবস্থার এই উন্নতির ফলে স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে গেছে কর্মসংস্থান। এছাড়াও মোদি সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬৭০টি রাস্তার পাসে হেলিপ্যাড ও ড্রোন পোর্ট তৈরি হবে। পরিবেশকে দূষণমুক্ত করার জন্য ইলেকট্রিক বাস ও রোপওয়ের মতো দূষণবিহীন গণপরিবহণ চালু করা হচ্ছে। কিন্তু দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। সেইসব বিষয় দিকেও করা নজর দেবে কেন্দ্রীয় সরকার।