নিজস্ব প্রতিবেদন : এটা ঠিক যে সম্প্রতি ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। কিন্তু তারই মাঝে নতুন আতঙ্ক তৈরি করেছে ব্রিটেনের নতুন করোনা স্ট্রেন। ইতিমধ্যেই নতুন এই করোনা স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২০ জন। আর এমত অবস্থায় গতবারের ভুলের পুনরাবৃত্তি কোনভাবেই করতে চায় না কেন্দ্র।
নতুন করোনার স্ট্রেনের অস্তিত্ব ভারতে মিলতেই স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়ছে কেন্দ্রের। আর এই উদ্বেগ বৃদ্ধির পাশাপাশি কেন্দ্র নতুন করেই বিধি-নিষেধ আরোপ করার জন্য চিঠি লিখলো রাজ্য সরকারগুলিকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে দেওয়া সেই চিঠিতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বর্ষশেষে উৎসবের মরসুম উদযাপনের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ আরোপ করার জন্য।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ দেশের প্রতিটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যসচিবদের একটি চিঠি দিয়ে উল্লেখ করেছেন, “গত সাড়ে তিন মাস ধরে আমাদের দেশে সংক্রমণের হার নিম্নমুখী হলেও ইউরোপ ও আমেরিকায় সংক্রমণের নতুন ঢেউ দেখা গিয়েছে। তাই আমাদের দেশেও কড়া নজরদারি চালানো-সহ সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
শীতের মরসুমে বর্ষবরণ সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে এই বিশেষ নজরদারি চালানোর কথা বলা হয়েছে। কেন্দ্র মনে করছে এই মরসুমে ‘সুপার স্প্রেডার’ হতে পারে করোনা। তাই বিশেষ নজরদারি এবং সাবধানতা অবলম্বনের পাশাপাশি নাইট কার্ফু জারি করা যেতে পারে এমনটাও উপদেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। তবে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্য যাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো রকম বিধি-নিষেধ থাকবে না বলেই জানানো হয়েছে। মূলত এই নাইট কার্ফু জারি করার ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তিন দিনের জন্য। যেদিনগুলি হল ৩০, ৩১ ডিসেম্বর এবং ১ জানুয়ারি।
আর কেন্দ্রের এই আবেদনে রাজ্যগুলি কতটা সাড়া দেয় তাই এখন দেখার। কারণ ইতিমধ্যেই একটি দিন পেরিয়ে গেছে, বাকি রয়েছে আরও দুটি দিন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত নাইট কার্ফুর দিকে না হাঁটলেও সমস্ত রকম স্বাস্থ্যবিধি মেনেই উৎসবে গা ভাসানোর পরামর্শ দিয়েছে।