মৃত্যুর হার বেশি, লকডাউন মানা হচ্ছে না, ফের রাজ্যকে চিঠি স্বরাষ্ট্রসচিবের

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বুধবার স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের করোনা‌ ভাইরাসের পরিস্থিতি বোঝানোর চেষ্টা করছেন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে চিঠি দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব অজয় ভাল্লা। রাজ্যকে সাহায্য করার জন্য আসা কেন্দ্রীয় টিমই রিপোর্ট পেশ করেছে আর তাতে উঠে এসেছে দুর্বল নজরদারির কথা, ভিড় নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার কথা।

Advertisements

Advertisements

কেন্দ্রের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিমের পেশ করা রিপোর্টের কথা বললেন তিনি। বলাই বাহুল্য কেন্দ্রের পাঠানো আন্তঃমন্ত্রক টিম ৭ টি জেলা পর্যবেক্ষণ করে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, তা যথেষ্টই উদ্বেগের।

Advertisements

বিষয়গুলি নিম্নরূপ-

১) রাজ্যের বিপুল জনসংখ্যার নিরিখে কম সংখ্যক টেস্ট হচ্ছে আর তারপর কোভিড সংক্রামিতদের মৃত্যুর হার সবথেকে বেশি পশ্চিমবঙ্গে। এই হার হলো ১৩.২ শতাংশ। অত‌এব বোঝাই যাচ্ছে নজরদারি দুর্বল‌। টেস্ট আরও বাড়াতে হবে।

২) এমনকি সংক্রামিতদের সংস্পর্শে যারা এসেছেন তাদের টেস্টিংয়েও বেশ সময় লাগছে। পাহাড়ে টেস্টিংয়েরও ভালো পরিকাঠামো নেই।

৩) কেন্দ্রীয় টিম রিপোর্টে কলকাতা ও হাওড়ায় নির্দিষ্ট এক গোষ্ঠী যে লকডাউন ভাঙছেন এবং ‘করোনা যোদ্ধা’ পুলিশের উপরে হামলা করছেন সে বিষয়টিও বলেছেন।

৪) স্বাস্থ্য কর্মীদের কোথাও কোথাও এক ঘরে করে দেওয়ার কথা জানা গিয়েছে। কোয়ারেন্টাইনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকার বিষয়টিও রিপোর্টে উঠে এসেছে।

৫) অজয় ভাল্লা তার চিঠিতে বলেছেন, এ রাজ্যের বহু কন্টেইমেন্ট জোনে লকডাউন ও সোশ্যাল ডিস্টেন্সিং ঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। রাস্তায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে ঠিকমতো ব্যবস্থা নিচ্ছে না জেলা প্রশাসন, নজরদারি দুর্বল।কন্টেইনমেন্ট জোনেই দেখা যাচ্ছে বাজারে ভি়ড়, ক্রিকেট খেলছে ছেলেরা, রাস্তায় রিকশ চলছে, মুখে মাস্ক না পরে অনেক মানুষ ঘুরছেন, অনেক মানুষ নদীতে স্নান করছেন। এই চিত্র সত্যি চিন্তার এবং উদ্বেগের।

Advertisements