Anubrata Mondal: মহা ফ্যাসাদে অনুব্রত, কেষ্ট কালীর ৫৬০ ভরি সোনার গহনা কোত্থেকে এলো, খুঁজতে হানা কেন্দ্রীয় এজেন্সির

নিজস্ব প্রতিবেদন : গরু পাচার কাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যেই বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তিহার জেলে বন্দী। তবে তাকে তিহার জেলে বন্দী করে রেখেও ক্ষান্ত হয়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাকে তিহার বন্দি করার পরেও কেষ্ট গড়ে একের পর এক জায়গায় হানা দিয়েছে ইডি থেকে সিবিআই। আর এবার ফের হানা।

অনুব্রত মণ্ডলকে ফ্যাসাদে ফেলতে বুধবার নতুন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে হানা দেওয়া হয়েছে বোলপুরে। সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কোথায় থেকে অনুব্রত মণ্ডলের দলীয় কার্যালয়ের মা কালীর ৫৬০ ভরি সোনার গয়না এলো তারই খোঁজ নিচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার এমন পদক্ষেপে রাতের চাপ বাড়ছে অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠদের।

গরু পাচার কাণ্ডে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে এমনই অভিযোগ সিবিআই থেকে ইডির। এরই পরিপ্রেক্ষিতে দু’বছর আগে অনুব্রত মণ্ডলকে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় সিবিআই। এরপর আসানসোলের জেলে দীর্ঘদিন ধরে তার সময় কাটলেও পরবর্তীতে ইডি আধিকারিকদের হস্তক্ষেপে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় তিহার জেলে। তিহারে বন্দি থাকা অবস্থায় একাধিকবার জামিনের জন্য আবেদন করেও কোন সাড়া পাননি তিনি। অন্যদিকে তার মুক্তির জন্য অনুরাগীরা হোম যজ্ঞ অনেক কিছুই করছেন।

আরও পড়ুন 👉 Howrah Maidan to Esplanade Metro: উদ্বোধন হলো হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রোর, ৩ নজির গড়ল বাংলা

এরই মধ্যে বুধবার সাত সকালেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাদের তরফ থেকে নতুন করে হানা দেওয়া হল বোলপুরে। বোলপুরের শান্তিনিকেতন রোডের ওপর থাকা একটি ব্যাঙ্কে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা হানা দিয়েছেন। তাদের সঙ্গে রয়েছে বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী। ওই ব্যাংকের ভিতর ঢুকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা ব্যাংকের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এমন হানার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফ থেকে কিছু জানানো না হলেও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, কেষ্ট কালী অর্থাৎ বোলপুরের তৃণমূল কার্যালয়ে যে কালীপুজোর আয়োজন করা হয় সেই কালী প্রতিমার ৫৬০ ভরি সোনার গয়না কোত্থেকে এলো? বোলপুরের বিলাসবহুল তৃণমূল কার্যালয় তৈরীর টাকা কোত্থেকে এলো এই সকল সন্ধান চালানো হচ্ছে। বোলপুরে তৃণমূলের বিলাসবহুল কার্যালয় এবং অনুব্রত মণ্ডলের কালীর বিপুল পরিমাণ সোনার গয়নার উৎস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে নানান প্রশ্ন ছিল। এবার এই সকল বিষয়ের তথ্য জোগাড় করতেই হানা দিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা বলেই জানা যাচ্ছে। দেখার বিষয় আগামী দিনে এই তদন্তের পরিপ্রেক্ষিতে কি কি উঠে আসে।